সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সামাল দিতে নাজেহাল বিশ্ব। একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। এর মাঝে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে নতুন আতঙ্ক। নোরো ভাইরাসের (NoroVirus) আতঙ্ক। পেটের রোগে নাজেহাল বিশ্বের বহু মানুষ। চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪ জন। দেশবাসীকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মে মাসের শেষের দিক থেকে ঊর্ধ্বমুখী নোরো ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতিমধ্যে ১৫৪ জনের দেহে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় নোরো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে তিনগুণ। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে নার্সারি ও শিশুদের দেহে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি।
[আরও পড়ুন: COVID-19: করোনামুক্তির পর আক্রান্তের শরীরে নানা জটিলতা, নজরদারির পরামর্শ চিকিৎসকদের]
কী এই নোরো ভাইরাস?
অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস এই নোরো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমিত ব্যক্তি কোটি ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। তার ছড়ানো ভাইরাসের সামান্য অংশ অন্য কারোর দেহে গেলে সংক্রমিত হতে পারেন যে কেউ। তাই আগেভাগে সকলকে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে ছড়াতে পারে সংক্রমণ?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সংক্রমিত ব্যক্তির বমি থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। এমনকী, সংক্রমিত জল, খাবার থেকে ছড়ায় সংক্রমণ। হাত থেকে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। তাই খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া দরকার। তবে পুকুরের জল পান করা হলে সেখান থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
নোরো ভাইরাসের লক্ষণ?
- বমি
- পেট ব্যথা
- জ্বর
- ডায়রিয়া
- এছাড়া শরীরের নানা অঙ্গে ব্যথা বাড়াতে পারে।
[আরও পড়ুন: এবার বিষ খাওয়া রোগী হাসপাতালে ভরতি করলেই মলমূত্রের নমুনা যাবে ফরেনসিকে, তৈরি হচ্ছে ল্যাব]
কীভাব ধরা পড়বে এই সংক্রমণ?
বারবার বমি হলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়লে মল পরীক্ষা করাতে হবে। তাতেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যেতে পারে।
কীভাবে হবে এই রোগের চিকিৎসা?
বমির ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। তাই বেশি করে জল বা তরল খাবার খেতে বলেন ডাক্তাররা। তবে নোরো ভাইরাসের এখনও কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ তৈরি হয়নি।