স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়তে দেওয়া হয়েছে উত্তর সিকিমের দরজা। তবে হুড়োহুড়ি না করে খুঁটিয়ে খোঁজ নিয়ে সেখানে যাওয়াই ভালো। কারণ, সময় মেপে যাতায়াতে বিধিনিষেধ সহ উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন ভ্রমণের পারমিট ইস্যু শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণের জেরে ব্যাপক ভূমিধসে বিধ্বস্ত হয় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। লাচুং ও লাচেনে আটকে পড়েন প্রায় দু'হাজার পর্যটক। বন্ধ হয়ে যায় ভ্রমণের পারমিট ইস্যু। সেনাবাহিনী, সিকিম পুলিশ ও প্রশাসন ধস সরিয়ে রবিবার ওই পর্যটকদের মঙ্গন হয়ে গ্যাংটকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এরপর কিছু বিধ্বস্ত রাস্তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করে বুধবার শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই সময় মেপে ভ্রমণের সূচি তৈরি না করলে বিপত্তি ঘটবে।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে পর্যটকদের চুংথাং, লাচেন, লাচুং ভ্রমণের পারমিট ইস্যু করা হলেও কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। গ্যাংটক থেকে চুংথাংগামী সমস্ত পর্যটকবাহী যানবাহন সঙ্কলং অথবা ফিদাং বেইলি সেতু দুপুর দু'টোর মধ্যে পার হতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই সময়ের মধ্যে সঙ্কলং এলাকাও অতিক্রম করতে হবে। সঙ্কলং হয়ে ওই পথ দিয়ে চুংথাংগামী কোনও পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। দুপুর দু'টোর পর এই পথ দিয়ে চুংথাংগামী কোনও পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
এদিকে চুংথাং থেকে যে পর্যটকরা ফিরবেন তাদেরও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গ্যাংটকগামী সমস্ত পর্যটকবাহী যানবাহন বিকেল সাড়ে তিনটের মধ্যে সঙ্কলং বেইলি সেতু অতিক্রম করতে হবে। ওই সময়ের পর কোনও পর্যটককে সেতু অতিক্রম করতে দেওয়া হবে না। জানা গিয়েছে, মঙ্গন থেকে ফেডং হয়ে গ্যাংটক রাস্তাটি সেভেন সিস্টার ফলসের কাছে ধসে এখনও অবরুদ্ধ হয়ে আছে। মঙ্গন-চুংথাং হয়ে টুং নাগা নতুন রুট মেরামতের কাজ চলছে। ওই কারণে রুটটি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গন থেকে চুংথাং হয়ে ফিডাং রুট অবশ্য হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্কলং বেইলি সেতু দিয়ে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না-হওয়া পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। চুংথাং থেকে লাচেন রাস্তাটি এখনও বন্ধ আছে। লাচেন থেকে থাঙ্গু রুট হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। থাঙ্গু থেকে গুরুদংমার, চুংথাং থেকে লাচুং রুট খোলা আছে। অন্যদিকে ইয়ুমথাং রোড হয়ে লাচুং থেকে জিরো পয়েন্ট রুট খোলা আছে। এছাড়াও মঙ্গন থেকে সিংটাম রোড পরিষ্কার আছে।
