স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: করোনার (Coronavirus) ধাক্কা সামলে সবেমাত্র মাথাচাড়া দিচ্ছিল পর্যটন। ঠিক ওই সময় পাশের রাজ্য সিকিমে (Sikkim) ডেল্টার থাবা। চিন্তার ভাজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পুজোর মরশুমে পর্যটকরা পাহাড়মুখো হবে কি না তা নিয়েই বাড়ছে সংশয়। কারণ, ইতিমধ্যে সিকিমের অর্ধেক এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। বন্ধ করা হয়েছে ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির সহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র।
সবে দার্জিলিং ও সিকিমে আনাগোনা শুরু হয়েছে পর্যটকদের। পাহাড়জুড়ে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছিল। হঠাৎ ডেল্টার হদিশ মেলায় সব হিসেব পালটে যেতে শুরু করল। ইতিমধ্যে নিয়ম চালু হয়েছে করোনার দুটো টিকা অথবা করোনার নেগেটিভ শংসাপত্র ছাড়া কেউ পাহাড়ে আসতে পারবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে সেখানে পর্যটকদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। এরই মধ্যে ডেল্টা উঁকি দেওয়ায় আরও সতর্কতা বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হাঁসুলী বাঁক’ এবার হবে পিকনিক স্পট, উদ্যোগী বীরভূম জেলা প্রশাসন]
কোনওভাবেই যেন সেটা উত্তরবঙ্গে না আসে সেজন্য সতর্ক পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারা ইতিমধ্যে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল জানান, সিকিমে ঢুকতে গেলে করোনার দুটো টিকা কিংবা নেগেটিভ শংসাপত্রের প্রয়োজন হয়। অথচ সিকিমের বাসিন্দারা মনের আনন্দে শিলিগুড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজার করছেন। তাই আমরাও চাই বাংলা-সিকিম সীমান্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একইভাবে পরীক্ষা করা হোক তাদের টিকা নেওয়া হয়েছে কিংবা নেগেটিভ শংসাপত্র রয়েছে কি না তা দেখার জন্য। এদিকে ডেল্টা স্ট্রেনের জন্য ইতিমধ্যে সিকিমে ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির সহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম জানান, “যে সব পর্যটক আসবেন তাদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেন্টার থাকবে। কোনওরকম প্রশাসনিক ঢিলেমি দেখানো হবে না।”