shono
Advertisement

‘স্মার্টওয়াচ’ব্যবহার করে সত্যিই কি FASTag থেকে টাকা হাতানো সম্ভব? উত্তর দিলেন বিশেষজ্ঞরা

ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
Posted: 04:23 PM Jun 27, 2022Updated: 04:23 PM Jun 27, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন টোল প্লাজায় ‘স্মার্টওয়াচ’ ব্যবহার করে নতুন পদ্ধতিতে টাকা হাতাচ্ছে কিশোররা। তাদের হাতে থাকা ঘড়ির মতো স্ক্যানার দিয়ে গাড়ির কাচে লাগানো ফাসট্যাগের (FASTags) বারকোড স্ক্যান করে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। যে ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ভিডিও দেখে উদ্বেগে গাড়ির মালিকরা। কিন্তু সত্যিই কি এভাবে ফাসট্যাগ স্ক্যান করে টাকা হাতানো সম্ভব? এবার তারই উত্তর দিল ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)।

Advertisement

তাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, যে কেউ ইচ্ছা করলেই ফাসট্যাগ স্ক্যান করে টাকা তুলে নিতে পারে না। কারণ এই লেনদেন পদ্ধতি সুরক্ষিত রাখতে বেশ কয়েকটি স্তর রয়েছে। ফলে এত সহজে গাড়ির মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেওয়া সম্ভব নয়। তারা আরও নিশ্চিত করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলা আবাস যোজনার টাকা না পেলে দিল্লি যাব’, বর্ধমানের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার]

ঠিক কীভাবে ফাসট্যাগ কাজ করে। কেন সহজে এর মাধ্যমে টাকা হাতানো সম্ভব নয়, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। জানানো হয়েছে, প্রথমত, ফাসট্যাগের মাধ্যমে শুধুমাত্র পার্সন টু মারচেন্টের (P2M) মধ্যেই লেনদেন সম্ভব। অর্থাৎ এক ব্য়ক্তির থেকে অন্য ব্যক্তি এই মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, টোল প্লাজায় ফাসট্যাগের মাধ্যমে যাতে টোল দেওয়া যায়, তার জন্য বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর (SI) রয়েছে। অনুমতি প্রাপ্ত IP অ্যাডরেস এবং URL ছাড়া ব্যাংক কোনও লেনদেন এক্ষেত্রে করে না। তৃতীয়ত, টোল প্লাজার সার্ভার রুমে যে হার্ডওয়্যার রয়েছে, তার ক্রিপ্টোগ্র্যাফিক্যালি সুরক্ষিত। অর্থাৎ শুধুমাত্র গাড়ির মালিক ও নির্দিষ্ট টোলই আর্থিক লেনদেনর বিষয়টি জানবে। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ায় ঢুকতে পারবে না। এছাড়াও এই লেনদেনের জন্য প্রতিটি মারচেন্টকে একটি ইউনিক প্লাজা কোড দেওয়া হয়। তাই এতগুলি স্তর অনায়াসে পেরিয়ে যে কেউ টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে না বলেই জানাচ্ছে NPCI।

উল্লেখ্য, এখনও কলকাতা-সহ রাজ্যের কোনও টোল প্লাজায় এই ধরনের জালিয়াতির ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এ শহরের টোল প্লাজাগুলিতে এ বিষয়ে নজর রাখা শুরু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে খবর। যদিও NPCI-এর নয়া ঘোষণায় ফিরতে পারে স্বস্তি।

[আরও পড়ুন: ২৪ জুলাই মেয়াদ শেষ রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের, কোথায় থাকবেন অবসরের পর?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement