সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে আবার থাবা বসাচ্ছে ব্লু হোয়েল আতঙ্ক। এবার ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’ রূপে। আবার এই নয়া গেমের ফাঁদে পা দিয়ে প্রাণ গেল আর্জেন্টিনার ১২ বছরের এক কিশোরীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই ভয়ংকর গেমই প্রাণ নিয়েছে তার।
কী এই মোমো চ্যালেঞ্জ?
ব্লু হোয়েল গেমের নিয়মকানুন মনে আছে? এক একদিন একেকরকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হত। কখনও সারাদিন ঘরবন্দি রাখার চ্যালেঞ্জ তো কখনও ছাদের ধার দিয়ে হাঁটার। আর সব শেষে খেলার নিয়ম মেনে আত্মঘাতী হতে হত প্রতিযোগীকে। মোমো চ্যালেঞ্জও অনেকটা তেমনই। এটিও পরিচিত সুইসাইড গেম হিসেবেই। একটি অদ্ভুত প্রাণী টিনএজারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। যার ফাঁদে পা দিলেই মৃত্যু আসন্ন। হোয়াটসঅ্যাপে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে এই মোমো চ্যালেঞ্জ। ফলে আতঙ্কে অভিভাবকরা।
কী মত সাইবার বিশেষজ্ঞদের?
গোটা বিশ্ব যখন এই চ্যালেঞ্জের আতঙ্কে ভুগছে, তখন সাইবার এক্সপার্টরা বলছেন, আদতে এমন কোনও অনলাইন গেমই নাকি নেই। একটি অদ্ভুত প্রাণীর ছবিই ভাইরাল করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা চলছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ রীতেশ ভাটিয়া হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গেমটি খেলার চেষ্টাও করেন। কিন্তু বুঝতে পারেন, বাস্তবে এমন কোনও চ্যালেঞ্জ কিংবা গেম নেই। তাই এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
[ফের দুর্দান্ত অফার আনল জিও, গ্রাহকদের দৈনিক ২ জিবি অতিরিক্ত ডেটা উপহার]
তাহলে মোমো আসলে কী?
জাপানি শিল্পী পাখির মতো দেখতে প্রাণীটি তৈরি করেছেন। যেটি টোকিওর হরর আর্ট ভ্যানিলা গ্যালারিতে রাখা আছে। আর এই স্থাপত্যটিই মানুষকে ভয় দেখাতে ব্যবহার করছেন অনেকে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি কোনও অচেনা নম্বর থেকে এই ছবিটি হোয়াটসঅ্যাপে আসে, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরটি ব্লক করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। গত মাসে মেক্সিকো পুলিশও জানিয়েছিল, এই গেমের উদ্দেশ্যই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা। স্পেন পুলিশের তরফেও বলা হয়েছিল, এই চ্যালেঞ্জটি সম্পূর্ণ ধাপ্পাবাজি। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
-
[ভিড় রাস্তায় বাইক নিয়ে যাবেন কীভাবে? খোঁজ দেবে গুগল ম্যাপ]
The post ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’-এর আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব, কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা? appeared first on Sangbad Pratidin.