সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day)। প্রতি বছরের মতো এবছরও গোটা বিশ্বজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হবে দিনটি। আর নারীর কথা ভাবতে বসলেই সবার প্রথমে অবধারিত ভাবে যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি মা। তাই নিজের জননীকে বলুন মনের কথা। দৈনন্দিন ব্যস্ততা ও নানা সমস্যায় হয়তো কুয়াশায় ঢাকা থাকে যে কথাগুলি। যা বহুবার বলবেন মনে করেও বলা আর হয়ে ওঠেনি। তাহলে এই দিনটিকেই বেছে নিন সেই কথা বলার জন্য।
কী কথা বলা যায়? সত্যিই গুছিয়ে ভেবে ওঠা কঠিন। যাঁর গর্ভে বেড়ে ওঠা, জন্মের পর প্রতিটা ধাপ পেরনোর সময় যিনি অবধারিত ভাবে থেকেছেন পাশে, জড়িয়ে রেখেছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কি কোনও ভাষা থাকে? তবু তাঁকে একবার বলেই ফেলুন কথাটা। নতজানু হয়ে ধন্যবাদ জানান।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার ৩ ছাত্রী! গ্রেপ্তার এমবিএ ছাত্র]
সেই সঙ্গে জানান, তাঁর জন্যই আপনি স্বপ্ন দেখার অভ্যাসটা ছাড়েননি। জীবন বদলাচ্ছে। প্রতিটি বাঁকে নানা সমস্যা-প্রতিকূলতার মধ্যেও লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা মায়ের মতো করে কজন আর দিতে পারেন। জীবনে যতই ব্যস্ততা থাকুক, এবার অন্তত মাকে বলুন, তিনি আপনার জীবনে কতটা ‘স্পেশাল’। এবং এও বলুন, জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আপনিও মায়ের পাশে রয়েছেন। থাকবেনও।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক শতক ধরে চলছে এই বিশেষ দিন উদযাপনের রেওয়াজ। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন আয়োজিত হয়। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) তরফে ১৯৭৫ সালে নারীদিবসকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই প্রতিবছর একটি থিম নির্ধারণ করে পালিত হয় নারী দিবস।