২৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে। দেশের অর্থনীতিকতে চাঙ্গা করতে ট্যুরিজম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকে ট্যুরিজমের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এই দিবস উদযাপন মোদি সরকারের। ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে উপলক্ষ্যে ঘুরতে যাওয়ার সন্ধান সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
অর্ণব আইচ: আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য দিতে হবে না লম্বা লাইন। তার জন্য শুধু খুলতে হবে যাত্রীসাথী অ্যাপ। তাতেই রয়েছে অনলাইনে চিড়িয়াখানার টিকিটের বুকিংয়ের ব্যবস্থা। বড়দিনের ছুটির আগে চিড়িয়াখানার সামনে ভিড় কমাতে যাতে দর্শকরা পরিবহন দপ্তরের যাত্রীসাথী অ্যাপে অনলাইনে টিকিট বুক করেন, তার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। কারণ, চিড়িয়াখানার সামনে রাস্তায় যত ভিড় কমবে, ততই মসৃণ হবে আলিপুরের রাস্তা। এমনকী, হাওড়া থেকে বাবুঘাট বা চাঁদপাল ঘাটে লঞ্চে যাতায়াতের টিকিটও মিলছে যাত্রীসাথী অ্যাপে, যার ফলে সুবিধা হবে লঞ্চযাত্রীদেরও।
বড়দিনের ছুটি মানেই চিড়িয়াখানা আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। চিড়িয়াখানায় জন্তুজানোয়ার দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ভিড় জমে। এ ছাড়াও ভিক্টোরিয়া ও ময়দানে সারাদিন সময় কাটাতেও আসেন হাজার হাজার দর্শক। অনেকেরই পরিকল্পনা থাকে, চিড়িয়াখানা দেখে ভিক্টোরিয়া বা ময়দানে যাওয়ার। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার একটি অংশ থেকে মধ্য কলকাতায় যাতায়াতের জন্য আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে দিয়েও যাতায়াত করে বহু গাড়ি। সেখানে গত বছরও দেখা গিয়েছে যে, চিড়িয়াখানার সামনে টিকিট কাটার জন্য হাজারো দর্শকের ভিড়। টিকিট কাটার লাইন চিড়িয়াখানার সামনে থেকে ফুটপাথ পেরিয়ে নেমে আসে রাস্তায়। আর সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকেও। কারণ অতিরিক্ত দর্শকদের কারণে চিড়িয়াখানার সামনে হয় যানজটও।
[আরও পড়ুন: এবার এক টিকিটেই দক্ষিণেশ্বর থেকে রুবি, জেনে নিন মেট্রোর ভাড়ার তালিকা]
এবার শীতের আগেই এই যানজট নিয়ন্ত্রণে পরিবহণ দপ্তর ও কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে ব্যবস্থা নেয়। আগাম ট্যাক্সি বুকিংয়ের জন্য রাজ্য সরকারের যাত্রীসাথী অ্যাপ জনপ্রিয় হচ্ছে। এবার চিড়িয়াখানার দর্শকরা যাতে বাড়িতে বসেই যাত্রীসাথী অ্যাপ খুলে ‘অপশন’-এ গিয়ে অতি সহজে একসঙ্গে যতগুলি ইচ্ছা, চিড়িয়াখানার টিকিট কাটা যাবে। অনলাইনে টাকা পাঠানোর পরই একটি কিউআর কোড ভেসে উঠবে মোবাইলের স্ক্রিনে। চিড়িয়াখানার গেটে দাঁড়িয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই অতি সহজে প্রবেশ করতে পারবেন ওই মোবাইলধারী দর্শক ও তাঁর সঙ্গীরা। ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা জানেন না। তাই প্রচারের জন্য ভিক্টোরিয়া ও চিড়িয়াখানার সামনে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। এবার ট্রাফিক পুলিশও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করছে। বেশি সংখ্যক দর্শক যাত্রীসাথী অ্যাপ ব্যবহার করলে চিড়িয়াখানার সামনে দর্শকদের ভিড় অনেকটাই কমবে বলে অভিমত লালবাজারের কর্তাদের।
এদিকে, প্রত্যেক বছরই চিড়িয়াখানার প্রস্থান গেট থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় সমস্যা সৃষ্টি হয়। একসঙ্গে বহু সংখ্যক দর্শক দফায় দফায় রাস্তা পার হওয়ার কারণে হয় যানজটও। চিড়িয়াখানার সামনে ফুটব্রিজ হওয়ার কারণে সেই সমস্যাও অনেকটা কমেছে। তবে অনেক সময়ই এমন দর্শক চিড়িয়াখানায় আসছেন, যাঁরা ফুটব্রিজের চলন্ত সিঁড়িতে উঠতে ভয় পান। তখন তিনি থেমে যাওয়ায় পিছনে মানুষের ভিড় জমে যায়। তখন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রয়োজনমতো কিছুক্ষণের জন্য চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে। ওই সময়টুকুর জন্য চিড়িয়াখানার দর্শক বা পথচারীদের হেঁটেই সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।