অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: করোনা পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা (Tourism)। পায়ে বেড়ি পরেছে ভ্রমণপিপাসুদের। তাই করোনার প্রকোপ সামান্য কমতেই ফের বাঁধনহারা অনেকেই। এক ঝলক মুক্তির আনন্দ পেতে পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্রে ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদের সেই আনন্দ দ্বিগুন করতে নয়া উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। শনিবার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার (New Jalpaiguri-Alipurduar) রুটে চালু হয়েছে বিশেষ ট্যুরিস্ট ট্রেন। কী বিশেষত্ব রয়েছে সেই ট্রেনে?
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার, এই রুটটা এমনিতেই সবুজে ঘেরা। পর্যটকদের মনকাড়া। এবার ট্রেনের চেয়ারে বসেই সেই সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। ট্রেনে থাকছে ভিস্তাডোম কোচ (Vista-dome)। অর্থাৎ গোটা ট্রেনই প্রায় মোড়া থাকবে কাঁচে। থাকবে বড়-বড় জানালা। চেয়ার হবে ১৮০ ডিগ্রি রিভলভিং। ফলে ট্রেনে বসেই উপভোগ করা যাচ্ছে ডুয়ার্সের ( Dooars area) জঙ্গল-পাহাড়-চা বাগানের সৌন্দর্য।
[আরও পড়ুন: Toy Train: দার্জিলিং-NJP লং রুটে চালু হল টয় ট্রেন, এই সফরে সেরে নিতে পারেন জঙ্গল সাফারিও]
উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দ্রকুমার চৌধুরী এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, শনিবার থেকে চালু হয়েছে এই ট্রেন। সপ্তাহে তিনদিন (শুক্র, শনি এবং রবিবার) নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার আবার আলিপুরদুয়ার-নিউ জলপাইগুড়ি চলবে ট্রেনটি। ছুঁয়ে যাবে আলিপুরদুয়ার জংশন-কালচিনি- হাসিমারা- মাদারিহাট – চালসা – সেবক -গুলমা-নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনগুলি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছাড়ছে ট্রেনটি। পৌঁছে যাচ্ছে দুপুর একটায়। আবার আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেনটি ছাড়ছে দুপুর ২টোয়। নিউ জলপাইগুড়ি এসে পৌঁচ্ছছে সন্ধে ৭টায়। এই যাত্রায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখানোর পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতিও তুলে ধরা হবে এই যাত্রাপথে। চালসা, হাসিমারা স্টেশনে স্থানীয় নৃত্য তুলে ধরার ব্যবস্থা থাকছে।
[আরও পড়ুন: UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল হরপ্পা সভ্যতার অংশ ধোলাভিরা, জানুন এর ইতিহাস]
ট্রেনটিতে থাকছে তিন ধরনের আলাদা আলাদা কোচ। ৪৪ আসন বিশিষ্ট ভিস্তাডোম কোচের ভাড়া হবে ৭৭০ টাকা। এসি চেয়ার কারে থাকবে ৯০ টি আসন। থাকবে দু’টি আসন। ভাড়া হবে ৩১০ টাকা। ৭০ আসন বিশিষ্ট নন এসি চেয়ার কারের ভাড়া হবে ৮৫ টাকা। টিকিট কাটতে পারেন IRCTC’র ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে। ইতিমধ্যে প্রথম সপ্তাহের অধিকাংশ আসনই ভরতি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সময় যত যাবে ততই এই ট্রেনের চাহিদা বাড়বে বলে বলে মনে করছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাহলে আর দেরি কেন, এখনই বেড়িয়ে পড়ুন বৃষ্টিভেজা ডুয়ার্সের উদ্দেশে।