সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার বিপাকে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের (Twitter)। দেশের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। সম্প্রতি সেজন্যই ভারতের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রেসিডেন্ট গ্রিভান্স (Twitter’s Interim Resident Grievance Officer) আধিকারিক নিয়োগও করেছিল টুইটার ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই নিয়োগের পর বেশিদিন কাটল না। তারই মধ্যে সরে দাঁড়ালেন ভারতের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুর। সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর জানানো হয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের তরফে।
নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। যা গত ২৫ মে থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেও ভারতের জন্য রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করেছিল টুইটার ইন্ডিয়া। কিন্তু কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই তিনি সরে দাঁড়ালেন। যদিও পরবর্তীতে রেসিডেন্ট গ্রিভান্স পদে জেরেমি কেসেলকে বসিয়েছে টুইটার।
[আরও পড়ুন: Breaking News নিয়ে ছড়াতে পারে ভুয়ো তথ্য, আপনাকে সতর্ক করবে Google নিজেই]
কয়েকদিন আগেই আরও একটি ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছিল টুইটার। কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের অ্যাকাউন্ট প্রায় এক ঘণ্টার ব্লক করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ‘কু’ অ্যাপে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অভিযোগের সুরে জানান, “আজ অত্যন্ত উদ্ভট ঘটনার ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেয়নি টুইটার। পরে ওরা (টুইটার) আমার অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়।” তিনি দাবি করেন, টুইটার যে কাজ করেছে, তাতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(৮) নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে। কারণ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে না দেওয়ার পদক্ষেপের আগে তাঁকে কোনও নোটিস দেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। পরে টুইটারের তরফেও একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, একটি নির্দিষ্ট টুইটের জন্য রবিশংকের টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলতে দেওয়া হয়নি। সেই টুইটও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের এক মুখপাত্র বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের নোটিশের ভিত্তিতে মাননীয় মন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের উপর সাময়িকভাবে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট টুইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কপিরাইট নীতি অনুযায়ী, আমরা কপিরাইটের মালিক বা তাঁদের অনুমোদিত প্রতিনিধিদের পাঠানোর অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করি আমরা।”