সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইন চ্যালেঞ্জ ব্লু হোয়েল। ৫০টি ধাপ। যার সর্বশেষ পরিণতি মৃত্যু। ধাপে ধাপে নিজেকে শেষ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে থাকে এই চ্যালেঞ্জ। এতই এর নেশা, যে বেরোনো যায় না চ্যালেঞ্জ ছেড়ে, কোনওভাবেই। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে সংবাদমাধ্যমে, এই নেশার কবলে পড়ে।
মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে ইউনিসেফ। সতর্ক করছে অভিভাবকদের। সম্প্রতি এক বিবৃতির মাধ্যমে ইউনিসেফ জানিয়েছে কিছু রাস্তা আছে এই মারণ ফাঁদের হাত থেকে সন্তানদের বাঁচানোর। পরামর্শ দিয়েছে সেগুলি মেনে চলার। ইউনিসেফ বলছে..
১. কড়া নজর রাখুন সন্তানের ওপর। তার গতিবিধি লক্ষ্য করুন। কোনও বিষয়ের ওপর সঠিক তথ্য সেই বিষয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলিও তুলে ধরে। তাই নিজেও ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে পড়াশোনা করুন, দরকার পড়লে এর ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আলোচনা করুন সন্তানের সাথে।
২. সন্তানকে এই গেমের ক্ষতিকারক দিকে আপডেট তথ্য দিন। এর অনিশ্চয়তা সম্পর্কে বোঝান।
৩. আপনার সন্তান কোন কোন সাইটে যাচ্ছে খেয়াল রাখুন। অনলাইনে কোন ধরনের গেমের প্রতি তার আকর্ষণ, সেদিকেও লক্ষ্য থাকুক আপনার। খেয়াল রাখুন যাতে কোনও সাইটের মাধ্যমে কোনও হিংসাত্মক কাজ বা অনৈতিক কাজে না জড়িয়ে পড়ে।
[কলকাতার পর এবার ‘নীল তিমি’র হানা বারাসতে, আক্রান্ত দুই ছাত্রী]
৪. আপনার সন্তানের নিজের ঘরে নয়, কম্পিউটার রাখুন বাড়ির এমন জায়গায়, যেখানে সবার ব্যবহারের সুযোগ থাকে। নিজস্ব কম্পিউটার থাকলে গোপনীয়তার প্রবণতা বাড়ে, ফলে ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।
৫. কথা বলুন। বন্ধুত্ব করুন সন্তানের সাথে। আপনার দেওয়া সময় ওকে সঠিক পথ দেখাবে।
৬. প্রয়োজনে শাসন করুন। তবে মাত্রাছাড়া নয়। মোবাইলের মতো ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন কোন কোন যন্ত্র সন্তান ব্যবহার করছে, তার ওপর নজর দিন।
৭. সন্তানের কাছে আদর্শ হয়ে উঠুন। নিজের অনলাইন কাজকর্ম সন্তানের সঙ্গে শেয়ার করুন। বিভিন্ন নিরাপদ গেম খেলুন একসঙ্গে।
৮. অন্যান্য অভিভাবকদের সাথে কথা বলুন। তারা কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করছে, জানুন। দরকার পড়লে গ্রুপ করে সন্তানদের নিয়ে আলোচনায় বসুন।
[এবার প্রাণ কাড়তে হাজির মারণ গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’]
৯. নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে আপডেটেড থাকুন। বিশেষত, ইন্টারনেটে নতুন নতুন কী বিষয় ভাইরাল হচ্ছে, জানুন।
১০. সন্তানের ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে এলেই, সজাগ হন। পড়াশোনায় অমনোযোগ, একা থাকার প্রবণতা, ঘন ঘন মুডের পরিবর্তন নজরে এলে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন। প্রয়োজনে কথা বলুন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
১১. যদি দেখেন ইতিমধ্যে ‘ব্লু হোয়েল’ চ্যালেঞ্জে জড়িয়ে পড়েছে আপনার সন্তান, সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের সাহায্য নিন।
ইউনিসেফ বলছে অভিভাবকদের সতর্কতাই বাঁচাতে পারে সন্তানদের।
The post ‘ব্লু হোয়েল’কে আটকাবেন কী করে, পথ দেখাচ্ছে Unicef appeared first on Sangbad Pratidin.