সুব্রত বিশ্বাস: অন্য ট্রেনের তুলনায় ভাড়া বেশি হওয়া সত্ত্বেও বন্দে ভারতের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। কারণ যাত্রীদের মন টেনেছে এই ট্রেনের ঝাঁ চকচকে পরিষেবা আর বিলাসবহুল পরিবেশ। এবার এই কৌশলকেই কাজে লাগাতে চলেছে ভারতীয় রেল। হাওড়া- নিউ জলপাইগুড়ি রুটের শতাব্দী এক্সপ্রেসে (Howrah-New Jalpaiguri Satabdi Express) এবার থেকে জোড়া হবে ভিস্তাডোম (Vistadome) কোচ। একই পরিষেবা পাওয়া যাবে হাওড়া-রাধিকাপুর কুলিক এক্সপ্রেসেও। প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতেই গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
রেলের তরফে জানা গিয়েছে, হাওড়ার দু’টি ট্রেনের অন্যান্য কোচের সঙ্গেই জোড়া থাকবে একটি ভিস্তাডোম কোচ। মূলত চেয়ারে বসে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে এই কামরায়। চেয়ারগুলি দু’দিকে ঘুরবে। দু’দিকের দেওয়ালের অধিকাংশটাই কাচে মোড়া। মূলত পর্যটন স্থলে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য ট্রেনে এই ধরণের কোচ থাকে। কাচের দেওয়াল থেকেই প্রকৃতিকে অনুভব করতে পারবেন যাত্রীরা। বন্দে ভারতেও রয়েছে এমন কামরা।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত কোচবিহার, তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে চলল গুলি, পুড়ল বাইক]
দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য ভারতীয় রেল (Indian Railways) ভিস্তাডোম কোচের ট্রেন চালু করেছে। এই কোচের বৈশিষ্ট্য হল আশেপাশের সব কিছুর ৩৬০ ডিগ্রি দর্শন পাওয়া যায়। ট্রেনযাত্রীদের ট্রেনভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে এই ব্যবস্থা। এতে যেমন এক দিকে পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে, তেমনই অন্য দিকে যাত্রীদের ভ্রমণ আরামদায়ক হচ্ছে। আরাকুভ্যালি, কালকা থেকে সিমলা, ডুয়ার্স, নাহারলাগুন থেক তিনসুকিয়া, পশ্চিমঘাট পাহাড়ের ভিতর দিয়ে পুনে, গোয়ার পথে, যশবন্তপুর থেকে কর্নাটক উপকূলে ইতিমধ্যেই ভিস্তাডোম কোচ রয়েছে।
সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোগ হাওড়া-এনজেপি, হাওড়া-রাধিকাপুর। তবে চিন্তাও রয়েছে। একাধিকবার বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছে। দীর্ঘ পথে ভিস্টাডোম কোচ ফের পাথরের ঘায়ে ভাঙবে নাতো? সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। আপাতত ৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কোচগুলি ব্যবহার হবে ট্রেন দু’টিতে।