সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড (Covid) তো ছিলই। সম্প্রতি ভারতে মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox) সংক্রমণের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। নিশ্চিত না হলেও একাধিক উপসর্গ মিলেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক নাবালিকার শরীরে। এর মধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাঙ্কিপক্স নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এবার মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মারিয়া ভান কারখোভ (Maria Van Kerkhove)।
বিশেষ করে যে দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্স বিরাট পরিমাণে ছড়াতে পারেনি তাদেরকে সংক্রমণ রুখতে পরামর্শ দিয়েছেন হু-র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। প্রথমত, ভাইরাস ঘটিত রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়েছে। রোগের উপসর্গ কী, তা কীভাবে ছড়াতে পারে, সাধারণ মানুষকে এই সম্পর্ক জানাতে বলা হয়েছে। মূলত আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সকে এই পরামর্শ দিয়েছে হু।
[আরও পড়ুন: চাপের মুখে নতিস্বীকার, অশালীন বিজ্ঞাপন বিতর্কে অবশেষে ক্ষমা চাইল সংস্থা]
যে সব দেশে মাঙ্কিপক্স এখনও সেভাবে ছড়াতে পারেনি, তাদেরকে বলা হয়েছে, দ্রুত আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। যাতে করে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেই বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পেলেই তাঁকে নিভৃতবাসে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছে হু।
এছাড়াও সামনের সারিতে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। যেহেতু তাঁরাই সবার আগে রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন। ফলে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিট-সহ যাবতীয় ভাইরাস নিরোধক পোশাক পরে তবেই কাজ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কীভাবে আরও দ্রুত মহামারী চিহ্নিত করা হবে, কীভাবে চিকিৎসা হবে, এইসঙ্গে টিকাকরণ নিয়েও বৈঠকে কথা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মাঙ্কিপক্স নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় নোটে বদল আনা হচ্ছে না, ছবি নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে জানাল RBI]
প্রসঙ্গত, এখনও অবধি বিশ্বের ৩০টি দেশে ৭৮০ জনের মাঙ্কপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। অধিকাংশই ইউরোপের বাসিন্দা। যার জেরে ভারতে গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র। সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছে- সংক্রমিত রোগীদের আইসোলেশনে (Isolation) রাখতে হবে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা ও ব্যবহৃত জিনিসে হাত দেওয়া যাবে না। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তারপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে সাবান ও জল দিয়ে। স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগীর দেখভাল করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তঃসত্ত্বা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।