নব্যেন্দু হাজরা: মৌসুমী বায়ুর দাপট রয়েছে যথেষ্ট। তার উপরে আবার দোসর নিম্নচাপ। আর এই নিম্নচাপের প্রভাবে রাত থেকে বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দিনভর একইরকম আবহাওয়া জারি থাকবে। আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঝেঁপে বৃষ্টি (Rain) আসার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার অভিমুখ ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। আপাতত নিম্নচাপ বাংলায় ঢুকছে না ঠিকই। তবে তার প্রভাবে ভিজছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। শনিবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ (Kolkata) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আকাশের মুখভার। বৃষ্টিরও বিরাম নেই। দিনভর একই আবহাওয়া জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তুলনামূলক ভারী বৃষ্টির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ছোটদের চোখে ছানির সমস্যা বাড়ছে, কেন অসময়ে এই জটিলতা? জানালেন চিকিৎসকরা]
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির অবস্থাও প্রায় একইরকম। রাতভর বৃষ্টিতে ভিজেছে পাহাড়। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও রোদের দেখা পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি চলছে অবিরাম। নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। পাহাড়ে ধস নামার সম্ভাবনাও রয়েছে। দিনকয়েক আগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। তার ফলে সিকিম-বাংলার যোগাযোগ কিছুক্ষণের জন্য প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির ফলে ফের একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে পাহাড়ের বাসিন্দা এবং পর্যটকদের। এদিকে, রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। তার ফলে কলকাতাবাসীকে জলযন্ত্রণাও ভোগ করতে হতে পারে। কারণ, ইতিমধ্যেই একটানা বৃষ্টিতে কিছু কিছু জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে। তবে রাজ্যজুড়ে এখনও করোনার বিধিনিষেধ জারি থাকার ফলে রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। তার উপর আবার সপ্তাহান্তে অনেক অফিসই ছুটি থাকে। সেক্ষেত্রে যানজটের আশঙ্কা কিছুটা এড়ানো সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।