সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক্কেবারে হাসপাতালের ধাঁচে আউটডোর। যেখানে সাধারণ মানুষকে দেখবেন জ্যোতিষীরা। আগামী দিন কেমন যাবে। এই নিয়ে তারা পূর্বাভাস জানাবেন। দেবেন বাস্তু নিয়ে পরামর্শ। চোখের ভুল নয়, এটাই হতে চলেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। রীতিমতো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানী ভোপালে এমনই একটি কেন্দ্র করতে চলেছে প্রশাসন। যেখানে জ্যোতিষী, বাস্তু বিশেষজ্ঞ, হস্ত বিশারদরা নিয়ম করে বসবেন। মহর্ষি পতঞ্জলি সংস্কৃত সংস্থান নামে এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন। যা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ বিরোধী কংগ্রেস। এসব করে রাজ্যে কৃষক হত্যার কী টোটকা মিলবে। শিবরাজ সিং সরকারের উদ্দেশে এভাবেই তীর্যক মন্তব্য করেছে কংগ্রেস।
[খয়রাশোলের স্কুলে ফের একই সঙ্গে বসে ক্লাস করবে ছাত্র-ছাত্রীরা]
ফসলের দাম মিলছে না। অভাবের তাড়নায় গত এক মাসে প্রায় ৫০ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। টাকা না থাকায় জমিতে মেয়েদের বলদের মতো লাঙল টানাচ্ছেন বাবা। মধ্যপ্রদেশে এখন এটাই রোজনামচা। কৃষকদের দুর্গতি চরমে। বিরোধীরা বলছেন চাষিদের স্বার্থে কিছু করার ব্যাপারে বিজেপি শাসিত সরকারের মাথাব্যথা নেই। তাদের যাবতীয় ভাবনা জ্যোতিষচর্চা নিয়ে। জ্যোতিষ নিয়ে সিরিয়াস শিবরাজ সিং চৌহান সরকার এবছরের সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চলেছে। রাজধানী ভোপালে যার ঠিকানা। যেখানে জ্যোতিষীরা ডাক্তারদের মতো প্র্যাকটিস করবেন। তারাই সাধারণ মানুষের মানসিক সমস্যার দিশা দেখাবেন। দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা করে এধরনের ডাক্তারদের পাওয়া যাবে। সপ্তাহে দুবার তাঁরা চেম্বারে বসবেন। জ্যোতিষী, বাস্তু বিশেষজ্ঞ, হস্ত বিশারদরা মানুষের সমাধানের পথ খুঁজে দেবেন। ওই সেন্টারে যোগও শেখানো হবে। মহর্ষি পতঞ্জলি সংস্কৃত সংস্থান নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চলবে এই কর্মকাণ্ড। ওই সংস্থার ডিরেক্টর পি আর তিওয়ারি জানিয়েছেন, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে যেমন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করেন, সেভাবে জ্যোতিষরা এখানে মানুষের সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে দেবেন। ওই সেন্টারে হবু বাস্তুবিদ, জ্যোতিষী, এবং পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাত্র পাঁচ টাকার টিকিটে থাকছে সবরকম ব্যবস্থা। সংগঠকদের দাবি জ্যোতিষশাস্ত্র সাধারণ বিষয় নয়, এটি বিজ্ঞান।
[মধ্যপ্রদেশে শৌচাগার তৈরি নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের বিবাদ চরমে, বিপাকে প্রশাসন]
বিজ্ঞান, যুক্তির কথা প্রশাসনের লোকজন বললেও তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভিজছে না। সরকারি অর্থ খরচ করে কেন এধরনের বিতর্কিত বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ কৃষক বিক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।