সুব্রত বিশ্বাস: হজম হচ্ছে না সুগারের ওষুধ! এমনকী ছমাস জলের মধ্যে রাখার পরেও নাকি গলছে না সে ওষুধ! লিলুয়ার রেলের হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন এক রোগী। শুধু তাই নয়, রেলের একাধিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওষুধগুলো পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ‘মেটফরমিন হাইড্রোক্লোরাইড’ নামের এই ওষুধ এখন পূর্ব রেলের হাসপাতালগুলোতে ডায়াবেটিসের রোগীদের দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। অভিযোগ উঠেছে লিলুয়া রেল হাসপাতালের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ জানিয়েছেন লিলুয়া ওয়ার্কশপের প্রাক্তন কর্মী অনন্ত শর্মা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন, “মাস ছয়েক জলের মধ্যে রাখার পরও ওষুধ অপরিবর্তিত থাকছে। এমনকী হজম না হয়ে তা মলের সঙ্গে একই আকারে বেরিয়ে আসছে।” লিলুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনন্তবাবুকে জানিয়েছেন, ওষুধটি পূর্ব রেলের স্টোর বিভাগ থেকে জোগান দেওয়া হয়। ফলে তা দেখার দায়িত্ব প্রিন্সিপ্যাল চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টরের।
[আরও পড়ুন: মেনু বদল মিড ডে মিলের, ডাল-ভাতের বদলে পাতে পড়ল পিঠে-পায়েস!]
এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. মিহির চৌধুরী। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলো থেকে এই অভিযোগ আসছে। ওই ওষুধটি কেন্দ্রীয় সরকারি ল্যাবে পাঠানো হলে রিপোর্টে তা ‘উপযুক্ত মানের’ বলে জানানো হয়েছে। ডাক্তার চৌধুরী আরও জানান, সুগারের ওষুধ ফের সরকারি ল্যাবে পাঠানো হবে। মান খারাপ হলে কোম্পানিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে। নেওয়া হবে জারিমানাও। এনিয়ে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ওই ওষুধ যেমন হজম হচ্ছে না, পাশাপাশি অনেক জীবনদায়ী ওষুধও অমিল। ‘লোকাল পারচেজ’ লিখে দিচ্ছেন রেলের ডাক্তাররা। যা পাওয়া যাচ্ছে না।