সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের ফিফা বর্ষসেরার জন্য তিন ফাইনালিস্টের নাম সোমবারই ঘোষণা করা হল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, মহম্মদ সালাহ এবং লুকা মদ্রিচ। অর্থাৎ, বাদ লিওনেল মেসি। বার্সেলোনাকে লা-লিগা জেতানো, কোপা দেল রে দেওয়া, কিংবা লিগে সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়া এবং ইউরোপিয়ান সোনার বুট জেতা, এগুলো নাকি ‘বেস্ট’-এর ফাইনালিস্ট হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স নয়। অর্থাৎ, ২০০৬-এর পর এই প্রথম বর্ষসেরার ফাইনালিস্ট হতে ব্যর্থ মেসি। এবং একইসঙ্গে মেসি-রোনাল্ডো দশকের ‘মনোপলি’-র ইতি।
[এশিয়াডে সোনা জিতেও অবহেলিত শিবনাথ-প্রণবরা, প্রশ্নে অলিম্পিক সংস্থার ভূমিকা]
গত দশ বছরে হয় মেসি নয় রোনাল্ডো, যে কেউ একজন বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন। এবার সেটা হচ্ছে না। যদি রোনাল্ডো ২৪ সেপ্টেম্বর বেস্ট-এর ট্রফি হাতে তোলেন, তা হলে অন্য কথা। না হলে একটা ‘ব্রেক’ অবশ্যই পাবে ফুটবল দুনিয়া। গত বছরই রোনাল্ডো বেস্ট ট্রফি জেতার পর বিরক্তিকর মনোপলি নিয়ে সরব হয়েছিল ফুটবল দুনিয়া। আর কেউ কি নেই, এমন প্রশ্নও উঠেছিল। নেইমার কাছাকাছি এসেও ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। এবার চোটের জন্য আড়াই মাস বাইরে থাকায় তাঁর নাম ভেসে ওঠেনি। বিশ্বকাপেও পারফরম্যান্স দারুণ নয়। মেসি কিন্তু প্রথম দশে ছিলেন। কিন্তু, প্রথম তিনে কেন তিনি নন? এই প্রশ্ন উঠে গেলই।
[এশিয়াডের পর অলিম্পিকেও সোনা আনার শপথ প্রণব-শিবনাথ জুটির]
বিশ্বকাপ ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে তোলার পিছনে মদ্রিচের লড়াই গোটা দুনিয়া মনে রেখেছে। সদ্য উয়েফার বর্ষসেরাও হয়েছেন। সুতরাং, তাঁর নির্বাচন প্রত্যাশিতই ছিল। মহম্মদ সালাহ বিশ্বকাপে চোট নিয়ে গিয়েছিলেন। নজর কাড়তে পারেননি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালেও চোট থাকায় খেলেননি। কিন্তু, তার আগে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড সংখ্যাক ৩২ গোল করেছেন। এটা যদি তাঁকে ফাইনালে তুলতে পারে, তা হলে মেসি কেন পিছিয়ে থাকবেন? ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। কিন্তু, তাঁর পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা খুব ছিল এমন নয়। মেসি সেই তুলনায় যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলেন।
বর্ষসেরা কোচের দৌড়ে দুই ফরাসি। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ দিদিয়ের দেশঁ এবং রিয়ালের প্রাক্তন কোচ জিনেদিন জিদান।অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফাইনালে থাকা নিয়ে। মেসি না হলে তিনি কেন? তবে রোনাল্ডোর ক্যারিশমা দেখার মতো। যাকে এখন ইউরোপের ফুটবল-মহল ‘রোনাল্ডো এফেক্ট’ বলছে। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্তাসে এসেছেন। এখনও সিরি ‘এ’-তে গোল পাননি। উল্টোদিকে রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে ছাড়াই দিব্যি স্বচ্ছন্দে খেলছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও রোনাল্ডো বিদায় নেওয়ার পর থেকে রিয়ালের ম্যাচে মাঠে দর্শকসংখ্যা কমেছে। সোস্যাল নেটওয়ার্কের হিসাব বলছে, রোনাল্ডো জুভেন্তাস আসার পর তাদের ‘ফলোয়ার’ বেড়েছে ৬২ লাখ। ঠিক উল্টোদিকে রিয়ালের এই সংখ্যা রাতারাতি কমেছে ১০ লাখ। তাই বলাবলি হচ্ছে, স্রেফ মার্কেটিংয়ের কথা ভেবেই রোনাল্ডোকে রাখা হচ্ছে ফাইনালে।
The post ১২ বছর পর ফিফা বর্ষসেরার লড়াইয়ে নেই মেসি, হতবাক ফুটবলমহল appeared first on Sangbad Pratidin.