ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভালবাসার দানে, ভালবাসার টানে মার্কিন মুলুকে গড়ে উঠছে লিভার ফাউন্ডেশন। সৌজন্যে ফ্রেন্ডস অফ লিভার ফাউন্ডেশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল। যার উদ্বোধন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফলো (Esther Duflo)।
২০০৬ সালের ঘটনা। লেখা হয় এক নতুন চিত্রনাট্য। যার পরতে পরতে ভালবাসা, ত্যাগ আর অসম্ভব জেদ। আর এর বাস্তব রূপ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের লিভার ফাউন্ডেশন। মালিকানাহীন এক অত্যাধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল। যার মূল উদ্দেশ্য জটিল রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা। এমন এক রূপকথাকে আমআদমির নাগালের মধ্যে আনার ঘটনা ইন্টারনেটের যুগে সহজেই পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাঙালির কাছে। কয়েকজন হঠাৎ একদিন সোনারপুরের রাস্তা ধরে ঘাসিয়াড়া ছাড়িয়ে হাজির লিভার ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। রোগী দেখা শেষ করে অতিথিদের গোটা হাসপাতাল যিনি ঘুরে ঘুরে দেখালেন ডা. অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি হাসপাতালের প্রাণপুরুষ। সব দেখে-শুনে তাঁদের একটাই কথা, মার্কিন মুলুকে এমন একটা প্রতিষ্ঠান কি গড়ে তোলা যায় না, যার প্রতিটি স্পর্শে থাকবে ভালবাসার দান। শুনে মুচকি হেসে অভিজিৎ চৌধুরী বলেছিলেন, “দেখুন, এমনটা করা গেলে তার থেকে ভাল আর কী হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ দলীয় কর্মীর সুতোর গোডাউনে আগুন, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে]
ব্যস, শুরু হল মার্কিন মুলুকে ‘ফ্রেন্ডস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল লিভার ফাউন্ডেশন’-এর নতুনভাবে পথা চলা। গত শনিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফলো এই প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। ‘ফ্রেন্ডস অফ লিভার ফাউন্ডেশন’ ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ায় রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। মার্কিন সরকার এই ফ্রেন্ডস অফ লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গলকে সেবা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের লিভার ফাউন্ডেশনের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গড়ে উঠছে আমেরিকায়। মানুষের ভালবাসার দানে গড়ে উঠবে নতুন সংস্থা। ডাক্তার ও সমাজকর্মী অভিজিৎ চৌধুরীর কথায়, “ লিভার ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট থেকেই ‘ফ্রেন্ডস অফ লিভার ফাউন্ডেশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।” ইতিমধ্যেই লিভার ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট দেখে যোগাযোগ শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অসংখ্য বাঙালি। এঁদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পরবাসে। কিন্তু শিকড়ের টান অনুভব করেন। কিছু করতে চান দেশের কোনও সংস্থার জন্য।