সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় মহিলা হিসাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েই নজিরবিহীন ক্যাবিনেট গঠন করলেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথমবার অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী হিসাবে কৃষ্ণাঙ্গ নেতাদের বেছে নিলেন তিনি। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি দপ্তরের ক্ষমতা প্রথমবার কোনও ব্রিটিশ পুরুষের হাতে থাকবে না। তবে মন্ত্রিসভায় নেই ঋষি সুনাক। সেই সঙ্গে ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেননি ট্রাস।
মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা করেন ট্রাস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভেরম্যানকে। উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন ট্রাসের বহুদিনের বন্ধু টেরেসে কোফে। ইতিহাস গড়েছেন কোয়াসি কোয়ারতেং। ঘানার বংশোদ্ভূত, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসাবে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। অন্যদিকে, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসাবে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তাঁর মা সিয়েরা লিওনের বাসিন্দা। জন্ম পরিচয় ঘিরে বারবার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে ক্লেভারলিকে।
[আরও পড়ুন: চার অর্থবর্ষে রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ! ঋণের বোঝা কমিয়ে ভারতসেরা বাংলা]
প্রধানমন্ত্রিত্বের (Britain Prime Minister) দৌড়ে হারের পর ঋষি সুনাকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় ঋষি থাকবেন না, আগেই সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ক্যাবিনেটে থাকতে গেলে উপরমহলের কথা শুনতে বাধ্য করা হয়। সেরকম পরিস্থিতিতে তিনি আর পড়তে চান না। আরও শোনা গিয়েছিল, সম্ভবত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জন্য ঋষিকে ভাবছেন ট্রাস। কিন্তু সেই দায়িত্ব নিতে ঋষি রাজি নন বলেই জানা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি সুনাক ঘনিষ্ঠ সাংসদদের কেউই। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেল আগাম ইস্তফা দিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ট্রাসের জয়ের পরেই প্রীতি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণেই নিজে থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে, নির্বাচনের সময় ঋষির হয়ে প্রচার করেছিলেন ডমিনিক রাব, গ্রান্ট শ্যাপস, স্টিভ বার্কলে, জর্জ ইউস্টিস। তাঁদের চারজনকেই ক্যাবিনেট থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাস। তবে সরকারকে সামর্থ্য মতো সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন ঋষি। আগামিদিনে কোনদিকে মোড় নেয়া তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহল।