সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াই এখন এক বনাম এক। বরিস জনসনের পদত্যাগের পর নয়া প্রধানমন্ত্রী (UK PM) খুঁজে নেওয়ার পালা ব্রিটেনের। সেই লড়াইয়ে মুখোমুখি ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনক (Rishi Sunak) ও লিজ ট্রাস (Liz Truss)। প্রাথমিক বাছাই যাঁরা ছিলেন, সকলেই ছিটকে গিয়েছেন। এবার ঋষি ও লিজের মধ্যেই একজন হবেন বরিসের উত্তরসূরি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষিকে ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। কিন্তু তবুও মনে হচ্ছে, এত কাছে এসেও হয়তো শেষ পর্যন্ত মসনদ পর্যন্ত পৌঁছনে হবে না তাঁর। পরিস্থিতি যা, তা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ কিন্তু মনে করছে লিজই হতে চলেছে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আর ঋষির মাঝখানে কেবল একটা ব্যালট ও ৬ সপ্তাহের ব্যবধান।
[আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে মমতাকে বস্তাভরতি মুড়ি এগিয়ে দিয়ে রাতারাতি ‘হিরো’ বর্ধমানের যুবক]
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, দলের সদস্যদের ভোটাভুটিতে অনেকটা এগিয়ে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস। আবার জনসনেরও পছন্দের প্রার্থী ট্রাস। ভোটাভুটিতে যে সেটা অনেকটাই প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও আগামী সোমবার ‘প্রধানমন্ত্রী বিতর্কে’র সময় দলীয় সদস্য ও ব্রিটিশ জনতাকে প্রভাবিত করার সুযোগ থাকছে ঋষির। তবুও জয় ক্রমেই তাঁর হাত থেকে পিছলে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রচারে ক্রমে জোর বাড়িয়েছেন ট্রাস। তিনি নিজেই নিজের সঙ্গে তুলনা করছেন প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের। যদিও একসময় তাঁকে থ্যাচারের বিরোধিতা করতেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার থ্যাচারের ‘ছায়া’ হয়েই ব্রিটেনের মসনদ দখলে মরিয়া ট্রাস। সম্প্রতি তাঁকে পূর্ব ইউরোপে একটি ট্যাঙ্কে ‘পোজ ‘ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। ঠিক এই ধরনেরই ছবি তুলেছিলেন থ্যাচারও। কোনও সন্দেহ নেই, সেই পুরনো আবেগ ফিরিয়ে এনেই বাজিমাতের সমীকরণ তৈরি করে ফেলছেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন। তাঁর ইস্তফার পর থেকেই ব্রিটেন জুড়ে আলোচনা, এবার কে? আপাতত যা পরিস্থিতি, লিজ ট্রাসই শেষ হাসি হাসতে চলেছেন। তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।