shono
Advertisement
Uluberia

মিড ডে মিলে টিকটিকি! অসুস্থ পড়ুয়ারা, আতঙ্ক উলুবেড়িয়ার স্কুলে

কী করে ঘটনা ঘটল তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
Published By: Subhankar PatraPosted: 08:26 PM Feb 18, 2025Updated: 08:26 PM Feb 18, 2025

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি! সেই খাবার পাতে পড়ল পড়ুয়াদের। অনেকে বুঝতে না পেরে খেয়েও নেয়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার উমেশচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রায় দশজন পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য কমলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় স্কুলের রান্নার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নিজের শিশুকে খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন মা। খাবার পাতে দেওয়ার পরই টিকটিকি দেখতে পান তিনি। ততক্ষণে কয়েকজন পড়ুয়া খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। খাবারে টিকটিকি দেখতে পাওয়ার পরেই আর কেউ খাবার খায়নি। এদিকে যারা খাবার খেয়েছিল তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। কেউ কেউ আতঙ্কে বমি করতে শুরু করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের কমলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় ব্লক প্রশাসনকেও‌। ব্লক প্রশাসনের লোকেরাও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন ও স্কুলে আসেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার প্রামাণিক বলেন, "খাবার বাড়ার সময় সেটা দেখা যায়। আমরা পড়ুয়াদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাছাড়া শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও ছাত্রদের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যদি কোনও সমস্যা হয় পড়ুয়াদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।" তিনি আরও জানান, "রান্নাঘরে যথেষ্ট আলো বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনও কারণে হয়তো টিকটিকি পড়ে গিয়েছে রাঁধুনী বুঝতে। তবে সব সময়ই সচেতন থাকা হয়। এটা একটা ঘটনা মাত্র।" শ্যামপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও তন্ময় কার্জী বলেন, "বিষয়টির প্রতি আমরাও নজর রাখছি। কী করে ঘটনা ঘটল তার তদন্ত করা হচ্ছে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি! সেই খাবার পাতে পড়ল পড়ুয়াদের। অনেকে বুঝতে না পেরে খেয়েও নেয়।
  • মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার উমেশচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
  • দশজন পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য কমলপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement