সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের দেহরক্ষীর গুলি ভরতি রিভলভার চুরি গেল ট্রেনে। শিয়ালদহগামী কল্যাণী সীমান্ত লোকালে এই চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। প্রাক্তন মন্ত্রী ও আইপিএসের দেহরক্ষী সুব্রত বৈশ্যর রিভলভার চুরির ঘটনায় তাঁর উদাসীনতা নিয়েও চরম প্রশ্ন উঠে এলে পুলিশ মহলে। দমদম রেল পুলিশ চুরি ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, সুব্রত বৈশ্য খড়দার বাসিন্দা। তিনি ওই স্টেশন থেকে ডাউন কল্যাণী সীমান্ত লোকালে চড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনের বাঙ্কে আট রাউন্ড গুলি ভরতি রিভলভার ও বারো রাউন্ড গুলি-সহ ব্যাগটি রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। বিধাননগর ঢোকার সময় ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখেন, ব্যাগটি চুরি গিয়েছে। এরপরেই তিনি দমদম রেল পুলিশ থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এই ঘটনার পরই পুলিশ মহলে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ স্টেশনগুলির সিসিটিভি খতিয়ে দেখলেও শুক্রবারও সন্দেহজনক কাউকে ধরতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: হিমঘরে আলু রাখার বন্ডের কুপন নিতে জলপাইগুড়িতে ধুন্ধুমার, ভিড়ের চাপে আহত ৮]
ট্রেনে চড়ার মিনিট পনেরোর মধ্যে এই চুরির ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ, সুব্রত বৈশ্যর উপর কেউ নজর রাখতে পারে। সুযোগ বুঝেই চুরি করে গুলি ভরতি রিভলভার। তবে বেশ কিছু দিন ধরে শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম স্টেশনে চুরি, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের সচেতন করে শ’খানেক অপরাধীর ছবি দিয়ে স্টেশনগুলিতে পোস্টার দিয়েছে রেল পুলিশ। তারপরে প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহরক্ষীর গুলি ভরতি রিভলভার চুরির ঘটনা এই অপরাধকে আরও বেশি উস্কে দিল বলে যাত্রীদের অভিযোগ। পাশাপাশি লরকারি এই আগ্নেয়াস্ত্র জঙ্গী সংগঠনের হাতে চলে গেলে বিপত্তি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে পুলিশ মহলে।