ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আবার পাঁচিল বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার শান্তিনিকেতনে দমকল বিভাগের কাছে তৈরি হচ্ছিল পাঁচিল। বাধা দিয়ে সেই নির্মাণ রুখে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঁচিলের উচ্চতা নিয়ে প্রথম আপত্তি তোলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় কাজ।
গত কয়েক মাস ধরে পাঁচিল বিবাদ চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। পরে শান্তিনিকেতনের রতনপল্লি, সঙ্গীতভবনের সামনে ও দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনের পাঁচিল দেওয়া নিয়েও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা দূরদর্শনের সামনের রাস্তায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলছে, এই খবর পেয়ে খোদ বীরভূমের জেলাশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। তাতেও বিশ্বভারতীর বিশেষ হেলদোল নেই। বিভিন্ন জায়গায় পাঁচিল তোলার চেষ্টা অব্যাহত।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে CBI হানা, দীর্ঘক্ষণ চলল তল্লাশি]
চতুর্থবার ফের সেই চেষ্টা করে বিশ্বভারতী। এবার দমকল বিভাগের সামনের একটি জায়গায় পাঁচিল তৈরির কাজ চলছিল। পাঁচিলের গায়ে পূর্ত দপ্তরের জায়গায় ফুটপাতে বহু দোকান রয়েছে। প্রায় ৪ ফুট পাঁচিলের উপর ৫ ফুটের ফেন্সিংয়ের কাজ চলছিল বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাঁচিলের উচ্চতার জন্য দোকানগুলির ছাউনিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণেই পাঁচিল তৈরিতে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি তাঁদের। ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয় এলাকায়। এরপরেই ঠিকাদারের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেন নির্মাণকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে স্কুল খুলল হাওড়ায়! পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ স্থানীয়রা]
এই বিষয়ে ঠিকাদার সুদীপ দত্ত বলেন, ”স্থানীয় কয়েকজন এসে বলেন, কাজ বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় পাশে যেখানে কাজ চলছে, সেখানে রাস্তা চওড়া করা হবে। তাই কাজ করা যাবে না।” তবে এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।