শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পরকীয়াকে বৈধতা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও মধ্যযুগীয় বর্বরতার কোনও শেষ নেই। আলিপুরদুয়ার, ঘাটালের পর ফের ধূপগুড়ি। পরকীয়ার ‘শাস্তি’ হিসাবে যুগলকে বাঁশে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। অকথ্য অত্যাচারের ফলে বেশ অসুস্থ দু’জনেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। যুবকটির বাড়ি ধূপগুড়ির (Dhupguri) নীরঞ্জন পাঠ এলাকায়। তাঁরও দু’টি সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তবে দিনকয়েক আগে তা প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে যুগলের আচরণের দিকে নজর রাখেন এলাকাবাসী। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার ওই মহিলার বাড়িতে যান যুবকটি। তারপরই তাকে পাকড়াও করে ধূপগুড়ির পূর্ব মাগুরমারীর গিলান্ডী পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, ওই মহিলা এবং যুবককে দড়ি দিয়ে একটি বাঁশের সঙ্গে বাঁধে তারা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় যুগলকে। চলে বেধড়ক মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধুপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ওই যুগলকে বেশ অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ইতিমধ্যেই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তার ফলে লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়েছেন ওই যুগল।
[আরও পড়ুন: বহু চেষ্টাতেও হল না শেষরক্ষা, প্রাণ হারাল ধূপগুড়িতে ধাতব বস্তু খেয়ে ফেলা ষাঁড়]
দিনকয়েক আগে ঘাটালেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। এক মহিলা প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় (Extra Marita Affair) জড়িয়ে পড়েন। দুই সন্তান, স্বামীকে ছেড়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান তারা। বেশ কয়েকদিন পর গ্রামে ফিরে আসেন। তারপর মহিলা এবং তার প্রেমিকের উপর হামলা চালায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বসে সালিশি সভা। ওই সালিশি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলাকে গলায় জবা ফুল এবং জুতোর মালা পরিয়ে গোটা এলাকায় ঘোরানো হয়। পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন। তবে ধূপগুড়ির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।