শেখর চন্দ ও সুমিত বিশ্বাস : গরুপাচার মামলা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। জেলায় জেলায় চলছে তল্লাশি। রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে সিবিআই। এরই মাঝে গরু বোঝাই কন্টেনার ধরা পরল ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। এদিকে পুরুলিয়ায় দুধের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গরু। পৃথক দু’ টি ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢুকছিল একটি ডাক পার্সেল বা ভারী জিনিসপত্র বোঝাই কন্টেনার। ধানবাদে স্থানীয়দের নজরে পড়ে সেটি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে কন্টেনারটিকে আটকে দেয় গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। গাড়ির দরজা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ। দেখা যায়, গাদাগাদি করে রাখা প্রচুর গরু। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়িটি ধরা পড়তেই চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: নির্দেশ সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি বকেয়া পেনশনের সুদ, জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে তলব হাই কোর্টের]
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছিল গরু। বীরভূম, মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে পাঠানো হত বাংলাদেশে। গাড়িতে ব্যবহার করা হত দুটো আলাদা নম্বর। কিন্তু এসবেও শেষরক্ষা হল না। অভিযোগ, বহুদিন ধরেই চলছিল পাচার। পুলিশ-প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এদিকে পুরুলিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থার দুধ কোম্পানির কন্টেনারের ভিতরে ছিল গরু। মঙ্গলবার সাতসকালে পুরুলিয়ার হুড়া থানার অন্তর্গত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০(এ) জাতীয় সড়কের উপর বিষপুরিয়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। উদ্ধার হয় ২০ থেকে ২৫ টি গরু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুগুলিকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, চোখে ধুলো দিতে কন্টেনারের ভিতর গরু বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক আবদুল আলিম আনসারির অভিযোগ, “পুষ্পা সিনেমার কায়দায় গরু পাচার হচ্ছিল। পুরুলিয়াতেও গরু পাচার রমরমা রয়েছে, তারই প্রমাণ এই ঘটনা।” যদিও এ বিষয়ে শাসক দলের নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।