দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ময়নাতদন্ত শেষে নাবালিকার দেহ গ্রামে ফিরতেই ফের উত্তপ্ত জয়নগর। দেহ আগলে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি একটাই, ফাঁসি দিতে হবে দোষীকে। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে কিছুটা শান্ত হয় উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার সকালে হবে শেষকৃত্য।
আর জি কর কাণ্ডের ক্ষত এখনও টাটকা। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় ডাক্তাররা। এরই মাঝে জয়নগরে ঘটে গিয়েছে নারকীয় ঘটনা। ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে সোমবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে হয় ময়নাতদন্ত। রাতে এলাকায় ফেরে দেহ। তখনই দেহ আগলে বিক্ষোভে শামিল হন পার্শবর্তী প্রায় ৭ থেকে ৮ টি গ্রামের বাসিন্দারা। দোষীর গ্রেপ্তারির দাবিতে সুর চড়ান সকলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। গভীর রাতে শান্ত হয় উত্তেজিত জনতা। রাত পেরলেও এখনও থমথমে নির্যাতিতার বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে অঙ্ক পড়তে গিয়েছিল নাবালিকা। মাঝরাস্তায় নাকি একজনের সঙ্গে দেখা হয় তার। এর পরই নির্যাতিতা বান্ধবীকে জানায়, সে সাইকেলে বাড়ি ফিরবে। বাড়ির পথে এগিয়ে যায় সে। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। এর পর থানা থেকে ফিরে আসেন ছাত্রীর বাবা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।