মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: কারও হাতে লাঠি। কারও বা বাঁশ। সোমবার সকাল থেকেই 'রণংদেহী' হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শংকরহাটির মহিলারা। এলাকার বেশ কয়েকটি চোলাই মদের ঠেকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন তাঁরা। আগুনও লাগিয়ে দিলেন স্থানীয় মহিলারা। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মহিলাদের দাবি, দিনের পর দিন ধরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শংকরহাটি এলাকায় চোলাই মদের ঠেক চলছে। এলাকার বেশিরভাগ পুরুষ সন্ধে হতে না হতেই ভিড় জমান। তার ফলে যা আয় করেন, তাই মোটের উপর ব্যয় হয়ে যায় তাঁদের। মদ্যপান করে ফেরার পর কেউ কেউ আবার স্ত্রীদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। সংসার খরচ এবং সন্তানদের পড়াশোনার খরচ দিতেও চান না অনেকেই। মহিলাদের দাবি, বার বার চোলাই মদের ঠেক বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। তবে তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি।
[আরও পড়ুন: স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে মদের বোতল! আরামবাগে হুলুস্থুল]
কার্যত বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল থেকে নিজেরাই আন্দোলনে নামেন তাঁরা। লাঠি, বাঁশ হাতে বাড়ি থেকে বেরন মহিলারা। এলাকায় থাকা ৬-৭টি চোলাই মদের ঠেকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মদের ঠেকের ভিতরে ঢুকে মদ ফেলে দেন মহিলারা। যাঁরা বেআইনি মদের ঠেক চালান বলে অভিযোগ তাঁদের তিন-চারটি বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবর পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানায়। খবর পাওয়ামাত্র তড়িঘড়ি বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়। রণংদেহী মহিলাদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বেআইনি চোলাই মদের ঠেক বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।