সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার কথা মার্চ মাসের প্রথমার্ধেই। তার অনেক আগেই বাংলায় পা রাখছে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট ঘোষণার আগেই এরাজ্যে পৌঁছচ্ছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে আগামী ১ মার্চ। বাকি ৫০ কোম্পানি পৌঁছবে মার্চ মাসের ৭ তারিখ। আগামী ৩ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছেন। তার আগেই ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে চলে আসা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দেশে এপ্রিল মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। তার প্রায় মাস আগে থেকে কোনও রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার কেন্দ্রীয় জওয়ান মোতায়েন করাকে ‘বেনজির ‘ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এর আগে খলিস্তান আন্দোলনের সময় পাঞ্জাব বা উগ্রপন্থী উপদ্রুত জম্মু-কাশ্মীর বা উত্তর পূর্বাঞ্চলে এমন নজির থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে সন্দেশখালির মতো দু’এক জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা ঘটলেও গোটা রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। সে অবস্থায় এই ভোট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মধ্যে ‘অন্য গন্ধ’ পাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে বাহিনী আসলেও, তাদের কোথায় পাঠানো হবে বা নিয়োগ করা হবে, তার নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘শেখ শাহজাহানের চামড়া, গুটিয়ে দেব আমরা’, বিজেপির স্লোগানের পালটা দিল তৃণমূল]
এদিকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগে শনিবার জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব ও অন্য আধিকারিকরা। কমিশন সূত্রে খবর, বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কার্যকর না করা জামিন অযোগ্য ধারায় জারি হওয়া ওয়ারেন্টের সংখ্যা ‘শূন্য’ করতে হবে। পাশাপাশি ফুল বেঞ্চ আসার আগেই জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি র পাশাপাশি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রস্তুত করে রাখতেও বলা হয়েছে।