নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি। শতাব্দী রায়ের সমর্থনে ভারচুয়াল সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের আটবারের বিদায়ী সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের নাম উল্লেখ করে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপিকে "১০ গোল দিয়ে ভোকাট্টা করা"র হুঁশিয়ারিও দিলেন তৃণমূলের 'সেনাপতি'।
বীরভূমের আটবারের বিদায়ী সাংসদ তথা বর্তমান পলিটব্যুরোর সদস্য সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমের নাম উল্লেখ করেন অভিষেক। বলেন, "রামচন্দ্র ডোমেদের সেই কালো দিনকে পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে এসেছেন শতাব্দী রায়। চতুর্থবার তাঁর পাশে না দাঁড়ানো মানে সিপিএমের হার্মাদকে সরিয়ে বিজেপির উন্মাদকে জেলায় আনা। যার জেরে বরবাদ হয়ে যাবে জীবন। সর্বহারা হবে বীরভূম।" বীরভূমের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জও দেন অভিষেক। বলেন, "জায়গা ঠিক করুন। দুটো মাইক নিন। একদিকে আমি। অন্যদিকে বিজেপির কেউ। বীরভূমের জন্য কী করেছে তথ্য আমি দেব। বিজেপি দিক। কথা দিচ্ছি ১০ গোল দিয়ে ভোকাট্টা করে দেব।" বলে রাখা ভালো, এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থের খতিয়ান চেয়ে গেরুয়া শিবিরের যেকোনও নেতাকে মুখোমুখি বিতর্ক সভায় বসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। যদিও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে হিসাবনিকেশ দেননি পদ্মশিবিরের কেউ।
[আরও পড়ুন: নিজে হাতে সৃজিতের ছবি এঁকে পাঠালেন চঞ্চল চৌধুরী, পর্দার ‘মৃণালে’র শিল্পীসত্ত্বায় মুগ্ধ পরিচালক]
এদিনের ভারচুয়াল সভায় বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কের প্রসঙ্গও ওঠে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে তাঁর তোপ, "প্রধানমন্ত্রী বাঙালি বিদ্বেষি। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দিয়ে নিজের নাম জুড়েছিলেন।" শতাব্দী রায়কে ভোটদানের আরজি জানান অভিষেক। গণতান্ত্রিক পন্থায় বিজেপির 'কোমর ভাঙা'র হুঁশিয়ারিও দেন। বলেন, "আগের তিন দফায় বিজেপির ঘাড় মাথা মেরুদণ্ড ভেঙেছে। বীরভূমে কোমড়। পরবর্তী দুদফায় পা ও হাত ভাঙবে। শেষ দফায় ডায়মন্ড হারবারে বিজেপিকে বিসর্জন দেব। এটাই জনগণের গর্জন।" আরও সংযোজন, "ভোটের সময় বসন্তের কোকিল পরিযায়ী নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। দরকারে প্রতিশোধ নিতে হবে।" উল্লেখ্য, বীরভূমে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি। দিল্লির তিহাড় জেলবন্দি তিনি। গ্রেপ্তারির পর কেষ্টবিহীন বীরভূমে এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচন। তাই এবারের ভোটে কী হয়, সেদিকেই বিশেষ নজর রয়েছে সকলেরই।