সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করল কেন্দ্র। মোদি সরকারের দাবি, নির্বাচন কমিশনারদের (Election Commission) নিয়োগ আইন মেনেই হয়েছে। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনও অবকাশ নেই।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র জানাল, মামলাকারীরা ভিত্তিহীন যুক্তি খাঁড়া করে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। তাছাড়া নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নিয়েও কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। তাই এই মামলাগুলি ভিত্তিহীন। কেন্দ্রের এই হলফনামার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ১, এবার পুলিশের জালে জমির মালিক]
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বক্তব্য ছিল, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও নতুন করে বিল আনে কেন্দ্র। কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য এক কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয় এই বিলে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক কাণ্ড ছত্তিশগড়ের শপিংমলে, বাবার কোল থেকে পড়ে মৃত্যু একরত্তির]
নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। আপাতত ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ছাড়া রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সদ্যই ওই কমিটি দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছে। সেটার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।