সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলা করেনি মহিলারা। হামলা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিই। আর তা স্থানীয় মহিলারা রুখে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের সভা থেকে এমনই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা বলেন, "হামলাটা কে করেছে? মেয়েরা করেনি। করেছে NIA। গদ্দার জানে হারবে। তাই লোকের বাড়ি গিয়ে গিয়ে কোথায় একটা চকোলেট বোম ফেটেছিল ২০২২ সালে। যদি মহিলাদের বাড়ি গিয়ে, গ্রামে গিয়ে অত্যাচার করে। মহিলারা কী করবে? শাঁখা-পলা পরে, মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? মহিলারা তাঁদের ইজ্জত, সম্মান রক্ষা করবে না? তুমি রাতের বেলায় ঢুকে যাবে বাড়ি বাড়ি। তৃণমূলের সব এজেন্টকে গ্রেপ্তার করতে হবে?" নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, "আমরা পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন চাই না। আমরা চাই কমিশন নিজেদের মতো কাজ করুক। বিজেপি ইলেকশন কমিশন চাই না। যত দোষ রাজ্যের বেলায়?"
[আরও পড়ুন: রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতের আঁচ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও]
ভূপতিনগরের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির পথ রুখে রয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের হাতে বাঁশ, লাঠিসোটা। রণংদেহী হামলাকারীদের আক্রমণ এনআইএ আধিকারিকরা জখম হয়েছেন বলেই দাবি। এই 'হামলা' স্বতঃস্ফূর্ত বলেই X হ্যান্ডেলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাজনৈতিক উদ্দেশে এজেন্সিকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন তাঁর দাবিতেই সিলমোহর দিলেন।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে চলছে তীব্র রাজনৈতিক কাটাছেঁড়া। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, "তদন্তে ভয় পাওয়া তৃণমূলের অভ্যাস। তাই হামলা।" বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারও এই ঘটনার প্রতিবাদে জোরাল সওয়াল করেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে অশান্তির আখড়ায় পরিণত করা চেষ্টা করছে রাজ্যর শাসক শিবির।