সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট মানতে হবে, নাহলে বেরিয়ে যেতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সাফ বার্তা দিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, মমতা ইন্ডিয়া জোটের অংশ। আর সেটা মানতে অধীর চৌধুরী বাধ্য। পালটা হাইকম্যান্ডের সঙ্গে সম্মুখসমরে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীরও।
বস্তুত ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ মমতাই করেছেন। গোটা দেশে বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় আনার ক্ষেত্রে তিনিই অগ্রণী ভূমিকা নেন। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিপিএম প্রীতিই এর জন্য দায়ী। সম্প্রতি মমতা একাধিকবার জানিয়েছেন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না হলেও দিল্লিতে তিনি ইন্ডিয়া জোটের পাশেই আছেন। তৃণমূলই নেতৃত্ব দিয়ে দেশে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়ে দেবে। মমতার সেই অবস্থানেও আপত্তি জানিয়েছেন অধীর।
[আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভয়াবহ আগুন, বহুতলের একাংশ ভেঙে বাসিন্দাকে উদ্ধারে দমকল]
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভোটের পর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কী হবে না হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধীর চৌধুরী কেউ নন। সেটা ঠিক করবে হাইকমান্ড। খাড়গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বলেছিলেন। বাইরে থেকে সমর্থন কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রথম ইউপিএ সরকারে বামেরাও বাইরে থেকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও মমতার আরও একটি বিবৃতি এসেছে। যাতে স্পষ্ট তিনি ইন্ডিয়া জোটেরই অংশ। অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন, তিনি কী বললেন তাতে কিছু যায় আসে না।" কংগ্রেস সভাপতির সাফ বার্তা, "হয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মানতে হবে, না হলে বেরিয়ে যেতে হবে।"
[আরও পড়ুন: থাকছে ক্রেশ, সঙ্গে সেলফি জোন, বিশেষ ব্যবস্থা বাংলার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে]
তবে দলের সভাপতির বার্তার পরও মমতা বিরোধী অবস্থান থেকে সরতে নারাজ অধীর। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অধীরের স্পষ্ট কথা, "আমি দলের সৈনিক। বাংলায় দলকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি এবং করব।" দলের সভাপতির উদ্দেশে প্রদেশ সভাপতির সাফ বার্তা, "আমিও এখন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। আমিও হাই কম্যান্ডের অংশ।"