সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানহাইয়া কুমার। তরুণ, উদীয়মান বামপন্থী নেতা থেকে কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘সৈনিকে’ পরিণত হয়েছেন। রাহুলের সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়’ যাত্রা করছেন। কংগ্রেস তাঁকে গুরুত্বও দিচ্ছে। দলের ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার নাকি লোকসভায় তাঁকে প্রার্থীও করতে চাইছে দল। তবে তাতে বাধাও আছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে সিপিআই প্রার্থী হিসাবে লড়েন কানহাইয়া। সেবারে বিহারে বিজেপি বিরোধী মহাজোট হয়েছিল। সেই জোটে ছিল কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। সিপিআই সেই জোটের অংশ ছিল না। উনিশে কানহাইয়া মহাজোটের সমর্থন ছাড়াই লড়েন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হলেও মহাজোটের প্রার্থী তানওয়ার হোসেনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে ফিরছি, লাইনে আরও বড় নেতা’, বিস্ফোরক দাবি ‘গেরুয়া’ অর্জুনের]
কংগ্রেস ফের বেগুসরাই থেকে প্রার্থী করতে চায় প্রাক্তন বাম ছাত্রনেতাকে। কংগ্রেসের দাবি, আগেরবার কার্যত কোনও সংগঠন ছাড়া একার কৃতিত্বে প্রায় ২ লক্ষ ভোট পান কানহাইয়া। ওই কেন্দ্রে তাঁর কিছু পকেট ভোট আছে। সেই সঙ্গে মহাজোটের সমর্থন পেলে তিনি জিতে যেতে পারেন। তাছাড়া ওই কেন্দ্রে বহু ভুমিহার ভোটার রয়েছে। তাঁরা সমর্থন করবেন কানহাইয়াকে। কিন্তু কংগ্রেসের সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিহারের বড় শরিক আরজেডি।
[আরও পড়ুন: নৈহাটিতেও ‘সাম্রাজ্য’ শাহজাহানের! ‘জমি হাঙরে’র সঙ্গে ‘আঁতাঁত’ পার্থর, বিস্ফোরক অর্জুন]
তেজস্বী যাদবরা বলছেন, জোটের সূত্র অনুযায়ী বেগুসরাই কেন্দ্রে বরাবর আরজেডি লড়ে, এবারেও তাই লড়বে। তাছাড়া ওই কেন্দ্রটি মূলত মুসলিম অধ্যূষিত এলাকা। তাই ওই কেন্দ্রে মুসলিম প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন তেজস্বী যাদব। কংগ্রেস এবার আরজেডির কাছে ১৫টি আসন দাবি করেছে। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক আসন ছাড়তে রাজি নয় আরজেডি নেতৃত্ব। যে আসনগুলি কংগ্রেসকে ছাড়তে তাঁরা রাজি নয় সেগুলির মধ্যে বেগুসরাইও রয়েছে।