রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অবশেষে বঙ্গে চূড়ান্ত রূপ পাচ্ছে বাম-কংগ্রেসের আসনরফা! রবিবার রাজ্যের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বাম শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের আগে শনিবার রাতে জোট ইস্যুতে ভারচুয়াল বৈঠক করেন সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিমরা। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে ফেলেছে কমরেডকুল।
সূত্রের দাবি, শনিবার রাতে প্রায় সওয়া এক ঘণ্টার এক ভারচুয়াল বৈঠক করেন সিপিএম নেতারা। তাতে সেলিম, সুজন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা যোগ দেন। আসলে রবিবার শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিতে চাইছিলেন সিপিএম নেতারা। যাতে শরিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় কোনওরকম দ্বিমত না তৈরি হয়। কংগ্রেসের পাশাপাশি আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে ওই ভারচুয়াল বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
প্রাথমিকভাবে খবর, প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্যে ১০-১২ আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সিপিএম সূত্রে খবর, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে বেশ কিছুটা কথা এগিয়েছে। কিন্তু শরিকরা অনেক ক্ষেত্রেই বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিজেদের ভাগের আসন ছাড়তে রাজি নয় কোনও শরিকই। সিপিএম বলছে, শরিকদেরও উচিত বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে দাবিদাওয়া রাখা। সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের ভূমিকা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএম (CPIM) মনে করছে, শরিকরা অনেক সময় অবাস্তব দাবি করছে। যা মানা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
এদিকে আইএসএফের (ISF) সঙ্গে জোট বার্তা শুরু হলেও মাঝপথে আইএসএফ একপেশেভাবে আট আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আলিমুদ্দিন। আইএসএফের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার ভার গিয়েছে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর কাঁধে। রবিবার ফের বামেদের বৈঠক। তারপরই ছবিটা স্পষ্ট হতে পারে।