সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই বিজেপির অন্দরে মান-অভিমানের পালা শুরু। টিকিট না পেয়ে রাজনীতিই ছেড়ে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan)। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হর্ষবর্ধনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর থেকেই বিজেপির মূল স্রোত থেকে দূরে সরে গিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিনের আরএসএস (RSS) কর্মী হর্ষবর্ধন প্রায় চার দশক রাজনীতি করছেন। পাঁচবার বিধায়ক হয়েছেন। দু’বার হয়েছেন সাংসদ। ২০১৯ সালেও দিল্লির চাঁদনি চক আসন থেকে সাংসদ হন। হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবার চাঁদনি চক থেকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছে প্রবীণ খান্ডেলওয়ালকে। টিকিট পাবেন না জেনেই রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করলেন হর্ষবর্ধন। জানিয়ে দিলেন চিকিৎসাতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন তিনি। বিদায়ের দিন তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্টে অভিমানও প্রকাশ্যে এসেছে। নিজেকে দীর্ঘদিনের আরএসএস কর্মী এবং মানুষের সেবক হিসাবে তুলে ধরেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মোদি বারাণসীতেই, ভোট ঘোষণার আগেই ১৯৫ আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির]
হর্ষবর্ধন আবেগঘন সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলেন,”আমাকে বলতেই হবে, এটা আমার জীবনের সেরা অধ্যায় ছিল। সাধারণ মানুষের সেবা করাটা আমার নেশা। এতদিন রাজনীতির মাধ্যমে সেই সুযোগ আমি পেয়েছি। আমি ভারতকে পোলিও মুক্ত করার অভিযানে অবদান রেখেছি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুব কম মানুষই এভাবে জনসেবার সুযোগ পায়। আমি সেই সুযোগ পেয়েছি।”
[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]
গতকালই সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর, এবং জয়ন্ত সিনহা। তারপরই হর্ষবর্ধনের অবসর। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) ঠিক আগে আগে যা কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের। অন্তত দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।