সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দফার ভোট মিটেছে। দেশের ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়েছে সব মিলিয়ে ১০২টি আসনে। মোটের উপর ভোটপ্রক্রিয়া মিটেছে নির্বিঘ্নেই। কিন্তু তাতেও আশঙ্কা কাটছে না বিরোধী শিবিরের। চিন্তা ইভিএমের (EVM) নিরাপত্তা নিয়ে। রাজ্যে রাজ্যে স্ট্রংরুম প্রহরায় রীতিমতো শিবির গড়ে তুলেছে বিরোধী শিবির।
এমনিতে ভোট মেটার পর স্ট্রংরুমে রাখা হয় সিল করা ইভিএম। সেগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের বন্দোবস্তও করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতেও আস্থা রাখতে পারছেন না বিরোধীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্ট্রংরুম পাহারায় অস্থায়ী শিবির তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে। আসলে প্রথম দফার নির্বাচনের দেড় মাসেরও বেশি সময় পর ভোটগণনা। ততদিন ইভিএমগুলি থাকবে স্ট্রংরুমেই। ইতিমধ্যেই একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মীদের ইভিএমের উপর কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার পরও পুরোপুরি এড়ানো যায়নি হিংসা, মণিপুরে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা কমিশনের]
তামিলনাড়ুতে ডিএমকে (DMK) এবং এআইএডিএমকে (AIADMK) দুই শিবিরই স্ট্রংরুমগুলোতে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএমকের তরফে দলীয় প্রার্থীদেরও বলা হয়েছে, নিয়মিত স্ট্রংরুমগুলোতে নজরদারি চালাতে। কর্মীরা স্ট্রংরুমের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে শিবির করে পাহারা দিচ্ছেন। বিহারেও আরজেডি-কংগ্রেস (Congress) জোট একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও একই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: বিরোধীদের কাছে আগামী দিনের স্পষ্ট ছবি নেই, বলছেন অনুরাগ ঠাকুর]
মজার কথা হল, কমিশনও (Election Commission) বাধা দিচ্ছে না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। সূত্রের খবর, বিগত বহু নির্বাচনে বারবার ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেটা এড়াতে চাইছে কমিশন। সেকারণে রাজনৈতিক দলগুলো স্ট্রংরুম থেকে নিরাপদ দূরত্বে শিবির করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। শুধু শর্ত হল, সঙ্গে সাদা কাগজ ছাড়া কিছু রাখা যাবে না। এদিকে প্রার্থীরা চাইলে তাদেরও স্ট্রংরুম পরিদর্শন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বিরোধী দলগুলি চাইলে সিসিটিভি ফুটেজের ফিডও দেওয়া হবে তাঁদের।