সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভা ভোটের দিন বাংলায় যে কোনও মৃল্যে হিংসা ঠেকাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যে লক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দিতে বললেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য একজন অতিরিক্ত সিএপিএফ নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার প্রথম দফার তিন কেন্দ্রের তিন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে ভিডিও বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকে তিন জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, "কোনও হিংসা চাই না। পুলিশ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে। চিন্তা করবেন না, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সময়ের মধ্যেই বাহিনী চলে আসবে। ভোটের দিন আপনারা প্রতি ১ ঘণ্টা অন্তর অন্তর রিপোর্ট দেবেন। নির্বাচনে হিংসার কোনও স্থান নেই এটা আপনারা মনে রাখবেন।হিংসা মুক্ত নির্বাচন করতে হবে।"
[আরও পড়ুন: সৌদির জেলে ১৮ বছর বন্দি, মৃত্যুদণ্ড এড়াতে প্রয়োজন ৩৪ কোটি! জোগাড় করল কেরলবাসী]
এর আগে ৬ এপ্রিল দুই স্পেশ্যাল পর্যবেক্ষকের হওয়া বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল জেলায় জেলায় যতগুলি কন্ট্রোল রুম আছে সেগুলির মধ্যে সমন্বয় রাখার জন্য জেলাস্তরে একজন সিএপিএফ (CAPF) নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে। সেই বিষয়টিও এদিন মনে করিয়ে দেন রাজীব কুমার। জানা গিয়েছে, এ সংক্রান্ত নোটিস ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ, লিগাল অ্যান্ড স্টেট নোডাল পুলিশ অফিসার আনন্দ কুমার ও রাজ্য সিএপিএফ কো অর্ডিনেটর বিকে শর্মাকে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভোটে কোনও হিংসা বরদাস্ত হবে না। কমিশনের নির্দেশকে পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে নিরপেক্ষ ভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। এতদিন ধরে নির্বাচন কমিশন যে গাইডলাইন দিয়েছে তাকেই কার্যকর করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘খবরদার!’, ইজরায়েলের বুকে হামলার আশঙ্কা নিয়ে ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি বাইডেনের]
রাজীব কুমার এদিন বলেন, "সাম্প্রতিক অতীত নয়, ২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ কুড়ি বছরের পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট কিন্তু কমিশনের নখদর্পণে। তাই ইতিহাসের কোনও পুনরাবৃত্তি নয়। আপনারাই কমিশনের চোখ।" তাঁর নির্দেশ, প্রথম দফা নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। কমিশন এখন থেকেই নজরদারি চালাবে সবকিছুর ওপর। বুথের চৌহদ্দির মধ্যে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা যে আর বরদাস্ত হবে না তা এককথায় পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। হিংসার কোনও জায়গা নেই নির্বাচনে।