সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী তাঁর অপরাধ? যে পদ থেকে নিজেই সরতে চেয়েছিলেন, সেই পদ থেকে সরানোর মানে কী? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের প্রশ্ন, তাঁর মতো তৃণমূলের জন্য ২৪ ঘণ্টা যারা প্রাণপাত করে পরিশ্রম করেন, তাদেরও কী অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?
পদ থেকে অপসারণের কোনও চিঠি এখনও পাননি কুণাল। তিনিও জেনেছেন দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেই। কুণালের প্রশ্ন, "আমাকে কি ফোন করে একবার বলা যেত না, তুমি যে পদ থেকে সরতে চেয়েছিলে, সেই সব পদ থেকে তোমাকে অব্যাহতি দেওয়া হল। 'রিমুভ' শব্দটা আসল কোথা থেকে? আমি তো নিজেই ওই পদগুলি থেকে সরতে চেয়েছিলাম।"
[আরও পড়ুন: বেআইনি বালি পাচার রুখল পুলিশ, আটক ১৯টি লরি, ডাম্পার]
'অভিমানী' কুণালের প্রশ্ন, দল যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে আমি নিজের পরোয়া না করে সেখানে ছুটে গিয়েছি। ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিয়েছি। বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে (CPIM) আমার থেকে কটু কথা কেউ কখনও বলেছে কী? সেই আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? যারা তৃণমূলের লড়াকু কর্মী তাঁদের প্রতিদিন অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? অমুক জায়গায় অমুকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে আমার রাজনৈতিক পরিচয় কী বদলে যাবে?" কুণালের সাফ কথা, "আমি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সৈনিক। আমি সেভাবেই নিজেকে দেখে এসেছি। সেভাবেই নিজেকে দেখব। আমি নিজেই যে পদগুলি ব্যবহার করি না, অনেক আগে সরিয়ে নিয়েছি। তার পরে কে কী প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিল তাতে কী এসে যায়। আমি কৃতজ্ঞ সারা বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে। আমার হোয়াটসঅ্যাপ উপচে গিয়েছে।" এর পরই কুণালের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, "আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস আছি। এবং তৃণমূল কংগ্রেসেই থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব।"
[আরও পড়ুন: নিউজক্লিকের এডিটরের লস্কর যোগ! ৮০০ পাতার চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের]
কুণালের সাফ কথা, "আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি। আজ বিরোধীরা খুশি যে দল আমাকে সেন্সর করেছে। দলেরও বোঝা উচিত, কার মুখে লাগাম পরানো হল যাতে বিরোধীরাই খুশি হল।" কুণালের প্রশ্ন, দেব যখন মিঠুন চক্রবর্তীর প্রশংসা করলেন, তখন দল চুপ ছিল। আর আমি একটা অরাজনৈতিক মঞ্চে কার সঙ্গে দেখা করলাম, সেটার জন্য আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল।