সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে এনডিএ সরকার গঠনের মঞ্চ প্রস্তুত। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও জানিয়ে দিয়েছে তারা বিরোধী আসনেই বসবে। তবে এরমধ্যেই একটি তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আঞ্চলিক দলগুলি মিলিতভাবে সরকার গঠন করতে পারে। তাতে বাইরে থেকে কংগ্রেস (Congress) সমর্থন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি সেই তৃতীয় ফ্রন্টের অংশ হবেন।
এবার নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলি ভালো ফল করেছে। কেন্দ্রে যেই সরকার গড়ুক সেখানে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ‘ম্যাজিক ফিগারে’র অনেক আগেই, ২৪০-এ থামতে হয়েছে পদ্মশিবিরকে। তবু নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে চলেছেন, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এনডিএতে যোগ দেওয়া টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভরসায়। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া (INDIA) সম্মিলিতভাবে যে আসন পেয়েছে, তার সঙ্গে টিডিপি ও জেডিইউকে পাশে পেলে এবং আরও কিছু ছোট আঞ্চলিক দল ও নির্দলদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন অসম্ভব হত না।
[আরও পড়ুন: বধূর ‘শ্লীলতাহানি’, ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান]
রাজধানীর রাজনৈতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বলছে, ইন্ডিয়া-র সরকার গঠনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ৯৯ আসন পাওয়া কংগ্রেস। তারা কিছুতেই অকংগ্রেসী দলের কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মেনে নিতে নারাজ। সেই দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ একাধিক আঞ্চলিক দল। কিন্তু বিজেপিকে রুখতে বেশ কিছু আঞ্চলিক দল একবার চেষ্টা করে দেখতে প্রস্তুত। সে কারণেই তৃতীয় ফ্রন্টের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) প্রধানমন্ত্রী পদ ‘অফার’ করা হবে এবং এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এনডিএর কাছে যে ‘শর্ত’ রেখেছেন– স্পিকার পদ, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ‘স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস’, তৃতীয় ফ্রন্ট মেনে নিতে পারে বা দরাদরি চলতে পারে। তাঁরা রাজি হলে, তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গঠনে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সেই সরকারে নীতিগতভাবে কংগ্রেস সমর্থন দিতে বাধ্য থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘গোটা দলটাই অবসর নিক’, ভারতীয় আমেরিকানদের কাছে হারতেই কটাক্ষের মুখে পাকিস্তান]
প্রসঙ্গত, গত মার্চেই দিল্লিতে তৃতীয় ফ্রন্ট সরকার গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন বিআরএস (BRS) নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর ফর্মুলাও এটাই ছিল। মনে রাখা দরকার, ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে কোনও দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। প্রথমে ভিপি সিং বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে। কিন্তু পরে বিজেপি সমর্থন তুলে নিয়ে ভিপি সিং সরকার পড়ে যায়। এরপর কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন সমাজবাদী জনতা পার্টির নেতা চন্দ্রশেখর।