রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য থেকে লোকসভায় কোনও প্রতিনিধি নেই। বিধানসভাতেও শূন্য। এমনকী কোনও পুরসভাও হাতে নেই। চব্বিশের লোকসভা ভোটে সেই শূন্যের দশা কাটাতে মরিয়া বামেরা। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের মোট ১২টি আসনে বাড়তি নজর দিচ্ছে বামেরা। সূত্রের দাবি, ঠিকঠাক ভোট হলে এই ১২টির মধ্যে একাধিক আসনে জয় আসতে পারে বলেই মনে করছে লালপার্টি। তাতে অবশ্য পুরোদস্তুর প্রয়োজন কংগ্রেসের সঙ্গত।
২০১৯ লোকসভা (Lok Sabha 2019) নির্বাচনে রাজ্যে দুটি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। বামেদের হাতে কোনও আসন ছিল না। সেবার স্পষ্ট কোনও আসন সমঝোতা হয়নি দুই শিবিরের। তবে বামেরা কংগ্রেসের জন্য দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি। আবার কংগ্রেসও (Congress) দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি। সে তুলনায় এবার জোট অনেক মসৃণ। দু-এক জায়গায় সামান্য সমস্যা থাকলেও প্রায় গোটা রাজ্যেই আসন সমঝোতা হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই যৌথভাবে প্রচারও করছেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ছেলেবেলার লাজুক ছেলেই আজ কথায় কথায় ‘রগড়ে’ দেন! প্রেম এসেছিল দিলীপ ঘোষের জীবনে?]
তবে গোটা রাজ্যে একই তীব্রতার সঙ্গে লড়াইয়ের পন্থা থেকে সরে নির্দিষ্ট, সম্ভাবনাময় কিছু আসনে বাড়তি নজর দিচ্ছে বাম (Left Front) ও কংগ্রেস। সাংগঠনিক রিপোর্ট এবং বাইরের সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে ১২টি আসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে ৬টি আসন রয়েছে প্রাধান্যের শীর্ষে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ, মালদহ দক্ষিণ, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদকে জয়ের মতো আসন বলে মনে করছে বামেরা। সিপিএম ও কংগ্রেস, দুই শিবিরেরই আশা সঠিকভাবে ভোট হলে এই আসনগুলিতে জয় আসতে পারে।
[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]
এর বাইরে দমদম, যাদবপুর ও শ্রীরামপুরের মতো আসনকেও সম্ভাবনাময় আসন হিসাবে দেখছে বামেরা। দমদমে লড়ছেন সুজন চক্রবর্তী, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, এবং যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য। যাদবপুর ও শ্রীরামপুর চষে বেড়াচ্ছেন সিপিএমের ছাত্র রাজনীতির দুই উল্লেখযোগ্য মুখ। এর বাইরেও আসানসোল, কৃষ্ণনগরের মতো আসনে ভালো ভোট পাওয়ার আশায় বাম শিবির। তবে আলিমুদ্দিন মনে করছে, আইএসএফ জোটে থাকলে আরও সুবিধা হত। যদিও এই সব সংখ্যা-সমীকরণ বদলে যেতে পারে ২০২১ নির্বাচনের মতো তীব্র মেরুকরণ হলে।