সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ধ্যানে বসেছিলেন কেদারনাথে। সেবার প্রচার শেষের পরও দিনভর সোশাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছিল তাঁর সেই ধ্যানের বিভিন্ন মুহূর্ত। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, উনিশে প্রধানমন্ত্রীর সেই ধ্যান ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪ লোকসভার প্রচারের শেষেও একই ভাবে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত কন্যাকুমারীতে। সেটা নিয়েই মোদিকে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার প্রশ্ন, ধ্যান করলে কেউ ক্যামেরা নিয়ে করে? বারুইপুরের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনি আর থাকবেন না মোদিবাবু। আপনার মেয়াদ ৪ তারিখ পর্যন্ত। বরং আপনি গিয়ে ধ্যান করুন। ধ্যান করলে কেউ ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করে?" মমতার (Mamata Banerjee) অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যানের ব্যাপারটা পুরোটাই দেখনদারি। তিনি বলছেন, "প্রত্যেকবার যেদিন শেষ নির্বাচন তার আগে কোথাও না কোথাও ঢুকে বসে থাকে। আর দেখায় ধ্যান করছেন। পুরো জায়গাটা এয়ার কন্ডিশন বানিয়ে নেয়।"
[আরও পড়ুন: ভারতীয় নারীশক্তির জয়, মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান রাষ্ট্রসংঘের]
মমতার আক্ষেপ, তিনি নিজেও ভেবেছিলেন কন্যাকুমারী যাবেন। কিন্তু সেই জায়গাটাও আরএসএস দখল করে নিল। তাই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। তৃণমূল নেত্রী বলছেন, "আমার খুব দুঃখ হয়, কেন সবাই চুপচাপ থাকে। কেন কেউ প্রতিবাদ করে না। আমার খুব দুঃখ হয় ওই জায়গাটা ঋষি অরবিন্দ তৈরি করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের খুব প্রিয় জায়গা ছিল। আরএসএস (RSS) ওটা দখল করে নিল।" এর পর সরাসরি মোদিকে কটাক্ষ, "উনি নাকি ঈশ্বরের দূত। তাই যদি হয়, লোকে ওনার ধ্যান করবে। ওনার তো ধ্যান করার প্রয়োজন নেই।"
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পর এবার চিন, ৬২’র হামলা নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য মণিশংকরের]
প্রসঙ্গত, দেশের একেবারে দক্ষিণতম বিন্দু তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী। এখানে এসেই মিশেছে বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর। যুক্ত হয়েছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল। মূল ভূখণ্ড পেরিয়ে আরও কিছুটা এগোলে তবেই বিবেকানন্দ রক। এখানে রয়েছে কন্যাকুমারীর মন্দির। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ চারদিক থেকে আছড়ে পড়ে এখানে। একদা এখানে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এবার সেখানেই, ধ্যানমণ্ডপমে ধ্যানে বসার কথা মোদির। সেই পরিকল্পনাকেই কটাক্ষ করল মোদির।