সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় লড়াই হবে একা। বহু আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের সভায় আরও একবার তিনি স্পষ্ট করলেন, বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ছে তৃণমূল। সিপিএম (CPIM) এবং কংগ্রেস ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের নামে লড়লেও, ওরা আসলে বিজেপির সহযোগী। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও যে তৃণমূলের সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি, সেটাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।
শারীরিক অসুস্থতা শেষে রবিবার কৃষ্ণনগরের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সমর্থনে সভা করে লোকসভার প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। কৃষ্ণনগরের সভা থেকেই তিনি বলে গেলেন, "ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি। নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর ওটা দেখে নেব।" রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের আগে আসন সমঝোতা না হলেও প্রয়োজনে ভোটের পর যে তিনি ফের ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিতে পারেন, সে ইঙ্গিত এদিন মমতা দিয়ে রাখলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং সাগরিকা ঘোষ।
[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]
তৃণমূল নেত্রী এদিন একযোগে ইন্ডিয়া জোটেরই শরিক বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। কৃষ্ণনগরের সভায় তিনি বলেছেন,"সিপিএম-কংগ্রেস (Congress) এখানে ইন্ডিয়া নামে লড়ছে। এখানে তো জোটই হয়নি। এখানে তো ঘোঁট হয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে লড়ছে। আর এক দিকে আমরা একা লড়ছি।" অর্থাৎ মমতার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, যারা বাংলায় ইন্ডিয়া নামে লড়ছে, প্রকৃত ইন্ডিয়া জোট তাঁরা নয়। বাংলায় বিজেপির আসল বিরোধী তৃণমূলই। দরকারে ভোটের পর যে আবার ইন্ডিয়া জোটে সরাসরি তিনি অংশ নিতে পারেন, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা,"কংগ্রেস-সিপিএম যদি বলে আমরা ইন্ডিয়া জোট, তাহলে ওদের বলুন আপনারা দিল্লিতে গিয়ে লড়ুন। অন্য জায়গায় গিয়ে লড়ুন। বাংলায় মমতার দিকে তাকাতে আসবেন না।"
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। আরেকটা ল্যাজুড় পার্টি হয়েছে, মুসলিম পার্টি। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। আর বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেও বিজেপিকে ভোট দেওয়া। বিজেপি একটা দাঙ্গাবাজ দল। তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। নিজের সর্বনাশ নিজে না করতে চাইলে ওদের ভোট দেবে না। যদি CAA না করতে হয়, যদি NRC না করতে হয়, যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে চান, তাহলে তৃণমূলকে ভোট দিন।"