কিংশুক প্রামাণিক: আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে মেগা দ্বৈরথ। মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির সভা শহরের রাসমেলা মাঠে। আর মমতার প্রথম স্ট্র্যাটেজিক মিটিং মাথাভাঙায়। পরেরটি মালবাজারে।
গতবার উত্তরবঙ্গের উত্তরে চারে চার করেছিল বিজেপি। এবার সেই দুর্গ ভাঙতে চান মমতা। বিলক্ষণ বোঝা যাচ্ছে, একটা ঘূর্ণিঝড় শুধু টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়নি, ডুয়ার্সে এলোমেলো করে দিয়েছে বিজেপির ভোট অঙ্ক। প্রার্থীরা তাই অধীর অপেক্ষায় আছেন কবে তাঁদের কান্ডারি মোদি আসবেন। ৭ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয়বার প্রচারে এসে মোদির ময়নাগুড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে রয়েছেন দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, যিনি ইতিমধ্যে রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে নির্দলে লড়বেন বলে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। অন্যদিকে বিদায়ী সাংসদ তথা মন্ত্রী জন বার্লা, যিনি কথা দিয়েও মনোজ টিগ্গার প্রচারে যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এতো কোন্দলের মধ্যে মোদি কোন ম্যাজিকে এবারও উত্তরে পদ্ম ফোটান তারই অপেক্ষায় দলীয় কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: চিনের আগ্রাসনের সাক্ষী মেষপালকরা, লাদাখবাসীর গতিবিধিতে বেড়ি]
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়তি মনোবল, দিদি রয়ে গিয়েছেন। কলকাতা ফেরেননি। বুধবার মোদির মিটিং নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর আসাটাই যে স্বাভাবিক ঘটনা সেটা জানিয়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি মমতা। আসলে আক্রমণের তাস তিনি এখনই ফেলবেন কেন। সবে তো শুরু। কোচবিহার থেকেই টানা প্রচারে ডুবে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আগামী পক্ষকাল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পর পর সভা মমতার। তার ফাঁকে দুদিনের অসম সফর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে সেরে গিয়েছেন সাংগঠনিক বৈঠক, তার পরই জনসভা দলনেত্রীর। সবটাই উত্তরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্ল্যানিং।