সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সফরের পরই উত্তরবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব ঠিক থাকলে এপ্রিলের শুরু থেকেই লোকসভার (Lok Sabha 2024) প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। মোদি-শাহ-নাড্ডা পর পর সভা করবেন রাজ্যে। আসবেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর আগামী ৪ থেকে ৬ এপ্রিল টানা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে রোড-শো, জনসভা ও জনসংযোগ কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন তিনি। ফিরে এসে ৭ ও ৮ এপ্রিল দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় নির্বাচনী সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পরই উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কারণ, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। বিজেপি সূত্রে শনিবার জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে ১৫টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কমপক্ষে ১২টি সভা করবেন।
[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]
ভোট ঘোষণার পর বাংলায় উত্তরবঙ্গ দিয়েই মোদির নির্বাচনী প্রচার শুরু হচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের শেষে কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই মোদি-শাহর জনসভা শুরু হবে বাংলায়। বস্তুত সেই কারণেই আগামী ৪ এপ্রিল থেকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পর পর জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী চলে আসার পর উত্তরবঙ্গে প্রচারে যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাংলায় অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী নিয়ে তীব্র ক্ষোভ চলছে বিজেপির অন্দরে। অধিকাংশ কেন্দ্রে গেরুয়া সংগঠনের হাল খারাপ। তাই মোদি-শাহকে এনে যত বেশি সভা করে পদ্মের পক্ষে যতটা হাওয়া তোলা যায় সেই চেষ্টায় নেমেছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পদ্ম নেতারা দাবি করলেও, একুশের বিধাসভা ভোটের পর ছবি বদলে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে জন বার্লার বদলে মনোজ টিগ্গাকে প্রার্থী করায় বার্লা শিবিরে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। আবার জলপাইগুড়িতেও খুব একটা ভাল পরিস্থিতিতে নেই বিজেপি। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে দু’টি জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মার্চের শুরুতেই শিলিগুড়িতে একটি সভা করেছেন মোদি। ফলে জলপাইগুড়িতে আর সভা নাও করতে পারেন তিনি। উত্তরবঙ্গে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও মালদহ উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
উত্তরবঙ্গে পাঁচটি সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। দক্ষিণবঙ্গে বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, কাঁথিতে তাঁর সভা করার কথা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি সভা করতে পারেন মোদি। কলকাতায় শহিদ মিনার ময়দানে মোদি অথবা শাহকে দিয়ে জনসভা করাবে বঙ্গ বিজেপি। অমিত শাহ জনসভা করবেন দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বোলপুর, বনগাঁ, তমলুক, ঘাটাল, দমদম, বসিরহাট, বারাসত ও কলকাতায়। জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, বারাকপুর, উলুবেড়িয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ নানা কেন্দ্রে সভা করবেন জে পি নাড্ডা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারাও বাংলায় প্রচারে আসবেন। প্রচারে আসবেন স্মৃতি ইরানি, মুক্তার আব্বাস নকভি, সতপাল মহারাজরা।