সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেঠি এবং রায়বরেলি। গান্ধী পরিবারের মনের মণিকোঠায় থাকা দুই কেন্দ্র। প্রত্যাশা ছিল এবার এই দুই কেন্দ্রের একটি থেকে ভোট ময়দানে নামবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকরাও চাইছিলেন প্রিয়াঙ্কাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা গেল রায়বরেলিতে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রার্থী হলেন, আর আমেঠিতে প্রার্থী করা হল দলের বিশ্বস্ত কিশোরীলাল শর্মাকে।
কিন্তু কেন দুই আসনের কোনওটিতে প্রার্থী হলেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? এতদিন সেভাবে কংগ্রেসের তরফে সরকারিভাবে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায়। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনিও প্রার্থী হলে বা জিতে সংসদে গেলে কংগ্রেস থেকে গান্ধী পরিবারেরই তিনজন সাংসদ হয়ে যাবেন। ফলে বিজেপির পক্ষে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আঙুল তোলা সহজ হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: যোগ্য তো? নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে রাজ্যের সব শিক্ষককে, জারি নির্দেশিকা]
প্রিয়াঙ্কা এদিন আরও একটি যুক্তি দিয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমি আর দাদা দুজনেই যদি ভোটে দাঁড়াতাম তাহলে ১৫ দিন ধরে এখানেই দুজনকে প্রচার করতে হত। দুজনকেই টানা পড়ে থাকতে হত নিজেদের কেন্দ্রে। আমরা তাই ভেবেচিন্তে ঠিক করি দুজনের একজন ভোটে দাঁড়াব। আরেকজন দেশজুড়ে প্রচার করবে। প্রচার না করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তো আর ভোটে জেতা যায় না।" মজার কথা হল প্রিয়াঙ্কার এই যুক্তি তাঁর ক্ষেত্রে বিশেষ খাটে না। কারণ তিনি প্রার্থী না হয়েও দাদার হয়ে গত প্রায় দু সপ্তাহ ধরে প্রচার করছেন। শুধু প্রিয়াঙ্কা নন, আমেঠি আর রায়বরেলিতে গোটা দেশের কংগ্রেস নেতাই গিয়ে পড়ে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষকতা! বাগুইআটির নামী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ]
প্রশ্ন হল, এবার তো ভোটে দাঁড়ালেন না, ভবিষ্যতে কী নির্বাচনী রাজনীতিতে আসতে পারেন প্রিয়াঙ্কা? সে প্রশ্নের জবাবে অবশ্য সবদিক খোলা রাখছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলছেন, "আমি কখনও জনপ্রতিনিধি হওয়ার কথা ভাবিনি। দল আমাকে যে কাজ দেবে, সেটাই করতে চেয়েছি। তবে মানুষ যদি মনে করেন, আমার ভোটে লড়া উচিত, তাহলে লড়ব।"