সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু খতরে মে হ্যায়...। সেই আদ্যিকাল থেকে ভোটের ময়দানে বিজেপির ব্রহ্মাস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে এই শব্দবন্ধ। ব্যতিক্রম নয় এবারও। প্রথম দুদফার ভোটের পরই পুরোদস্তুর মেরুকরণের খেলায় মেতে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ধর্মের নামে ভোট চাওয়া নিয়ে এবার মোদিকে পালটা দিলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী (Tejaswi Yadav) বলছেন, ধর্মের নামে ভয় দেখিয়ে ভোটবাক্সে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। মানুষের মূল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আরজেডি নেতার বক্তব্য, দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পদে এই মুহূর্তে সনাতম ধর্মাবলম্বীরা। তা সত্ত্বেও হিন্দুরা বিপদে আছে বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ৭০০ গাড়ি নিয়ে ব্রিজভূষণের পেশি প্রদর্শন! ভোটের বেসাতিতে চাপা পড়ল অ্যাথলিটদের কান্না?]
শনিবার বিহারের এক সভা থেকে তেজস্বী বলেন, "এ দেশের প্রধানমন্ত্রী সনাতন ধর্মের। রাষ্ট্রপতি সনাতন ধর্মের। তিন সেনার প্রধান সনাতন ধর্মের। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সনাতন ধর্মের। রাজ্যপালরা সব সনাতন ধর্মের। তাও সনাতন ধর্মের নামে অহেতুক ভয় দেখানো হচ্ছে। এঁরা সবাই ঠগ। দেশে বিভাজন করে রাজত্ব করতে চায়।"
[আরও পড়ুন: ‘আগে রায়বরেলিতে জিতুন, তার পর…’, আচমকাই কাসপারভের খোঁচা রাহুলকে!]
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সনাতন ধর্ম খতরে মে হ্যায় বার বার বলা হচ্ছে, কারণ আসল 'খতরা' থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে বিজেপি। তেজস্বীর কথায়, "হিন্দু খতরে মে হ্যায় যারা বলে তাঁরা লুকোতে চায় মোদি জমানায় ৬০ শতাংশ বেকার যুবকের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিপদে। কৃষি আর কৃষক বিপদে, ব্যবসাপাতি বিপদে, মা-বোনেরা বিপদে, শিক্ষা-চিকিৎসা বিপদে। প্রধানমন্ত্রী এসব নিয়ে কথাই বলতে চান না। আসলে হিন্দু নয়, প্রধানমন্ত্রীর কুরসি বিপদে।"