সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার আগেই বিধায়ক পদ ছাড়লেন মুকুটমণি অধিকারী। রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন। সেই ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়েছে।
মুকুটমণি অধিকারী (Mukut Mani Adhikari) পেশায় চিকিৎসক। তাঁর নামটা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় প্রথমবার ভেসে ওঠে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়। বিজেপি রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে প্রথমে মুকুটমণির নামই ঘোষণা করে। কিন্তু তখনও তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের চাকুরে। অভিযোগ, সেসময় ইচ্ছাকৃতভাবে মুকুটমণিকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। অগত্যা রানাঘাট কেন্দ্র থেকে লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হন জগন্নাথ সরকার। এবং তিনি জিতেও যান।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যের স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি, জারি বিজ্ঞপ্তি]
পরে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হন মুকুটমণি। তাঁর আশা ছিল, চব্বিশে তাঁকে রানাঘাট থেকে লোকসভায় প্রার্থী করবে দল। কিন্তু গেরুয়া শিবির দলের বিদায়ী সাংসদকেই ফের টিকিট দিয়েছে। সম্ভবত সেই ক্ষোভ থেকেই মুকুটমণি যোগ দেন তৃণমূলে। রাজ্যের শাসকদল তাঁকে রানাঘাট থেকেই প্রার্থী করেছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পর দলত্যাগ বিরোধী আইনে এমনিই তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল হত। তাছাড়া, জিতে সাংসদ হয়ে গেলে এমনিও তাঁকে পদত্যাগ করতে হত।
[আরও পড়ুন: উত্তরে প্রকৃতির দুই রূপ, হাঁসফাঁস গরমে পুড়ছে সমতল, তুষারের চাদরে ঢেকেছে সিকিম]
তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, ‘‘মুকুটমণি অধিকারী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কেউ ওঁকে এই কাজ করতে প্ররোচিত করেননি, কোনও ভীতি প্রদর্শন করা হয়নি। স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন এবং পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।’’ এর আগে রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীও পদত্যাগ করেছেন।