শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে নারাজ শাসকদল। চা বলয়ের ভোট পেতে মরিয়া তৃণমূল (TMC)। উনিশের লোকসভা ভোটে চা বাগান এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঘাসফুল শিবির। বিজেপি (BJP) একচেটিয়া ভোট পেয়ে তৃণমূলের কাছ থেকে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনটি নিজেদের দখলে নিয়েছিল। এবার সেখানকার শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিচ্ছে তৃণমূল। তাতে বিজেপির দাবি, এভাবেই শাসকদল জলপাইগুড়ি আসনটি ফের নিজেদের দখলে নিতে চাইছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৯০০ শ্রমিক পেয়েছেন জমির পাট্টা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এদিন মোট ৮৮৯ জনকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩০ জন শ্রমিক কোচবিহারের (Cooch Behar) বাসিন্দা। এছাড়াও ৫৫৯ জন জলপাইগুড়ি ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের বাসিন্দা আজ জমির পাট্টা পেলেন।
[আরও পড়ুন: সংসারে আসছে নতুন সদস্য, তারিখ জানালেন দীপিকা-রণবীর]
মন্ত্রী মলয় ঘটকের কথায়, ”৩৪ বছরে বাম সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। তেমনই দেশের বিজেপি সরকার কিছু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছে শ্রমিকদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। নির্বাচনের সময় নিজে কানে শুনে, নিজে চোখে দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন। কোনও টিভি দেখে বা কারও কথা শুনে সিদ্ধান্ত না নেন৷” উলটোদিকে বিজেপির কটাক্ষ, চোরের মায়ের বড় গলা। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করতে গেলে বাধা হয়ে দড়িয়েছে রাজ্যের সরকার। সেটা চা বাগান শ্রমিকরা সব দেখেছেন। এমনই দাবি বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদের।
[আরও পড়ুন: একাধিক অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার শাহজাহানের সঙ্গী আমির আলি গাজি]
আজ এই পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন মত্রী মন্ত্রী মলয় ঘটক, স্বাস্থ্য ও অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভীন, পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপথ-সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা৷ সরকারি এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই চা বলয়ে নিজেদের সমর্থন পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে শাসকদল।