নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের পর ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের রাজনৈতিক সাফল্য ও ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগেই জানা গিয়েছে, মোদি ম্যাজিক ফিকে হয়েছে এবার। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ট্রাইক রেট কমেছে ২৯ শতাংশ! অন্যদিকে বেড়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাফল্যের হার। এবার দেখা গেল দল হিসেবে দুরন্ত ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের স্ট্রাইক রেট ৬২ শতাংশ। যা বিজেপি, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির থেকে অনেকটাই বেশি।
এমনিতে লোকসভা আসন দখলের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি (BJP)। তবে কিনা ৪৪১ আসনে লড়ে ২৪০টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে তারা। অতএব, গেরুয়া শিবিরের স্ট্রাইক রেট ৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি নির্বাচনে কংগ্রেসের (Congress) আসন সংখ্যা বাড়লেও ৩২৮ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ৯৯টি লোকসভা কেন্দ্রে সাফল্যের মুখ দেখেছে তারা। স্ট্রাইক রেট তলানিতে, ৩০ শতাংশ। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির পরিসংখ্যান কিছুটা ভালো। ৭০ আসনে লড়ে ৩৭টিতে জয় পাওয়ায় স্ট্রাইক রেট ৫৩ শতাংশ। যদিও ঘাসফুলকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি তারাও। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে ৪৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। ২৯টি কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। সাফল্যের হার নজরকাড়া ৬২ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘অর্জুনের মতোই লক্ষ্য স্থির’, ‘বিজেপিমুক্ত মহারাষ্ট্র’ গড়তে বিধানসভায় জোট ঘোষণা শরদের]
এবারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসন ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং অসমে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। জিততে না পারলেও ভিনরাজ্যের ৫ আসনে নিজের ছাপ রেখেছে। চমকে দেওয়া ফল করেছেন উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। বিজেপি প্রার্থীর কাছে ৪৪ হাজার ভোটে পরাজিত হলেও যোগীরাজ্যে তৃণমূলের সমর্থনে ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ভোট পেয়ে চমকে দিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর দিন রাত এক করা পরশ্রম। তীব্র গরমে প্রায় শতাধিক জনসভা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্র্রী। দলের এই ঝলমলে সাফল্যে বড় ভূমিকা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সেই কারণেই ডিএমকে (১০০%), টিডিপি (৯৪%), জেডিইউ-র (৭৫%), এনসিপি-র (৬৭%) মতো আঞ্চলিক দলগুলিকে বাদ দিলে তৃণমূলই লোকসভার নিরিখে সবার উপরে।