অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: হাওড়া, হুগলির পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা। ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। জল চাওয়ার অছিলায় বাড়িতে গিয়ে সিআরপিএফ জওয়ান বধূর শ্লীলতাহানি করেন বলেই অভিযোগ। ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।
ওই মহিলা ডেবরার ১২৬ নম্বর বুথের বাসিন্দা। তিনি জামাকাপড় কেচে বাড়ির উঠোনে শুকতে দিতে যান। মহিলার দাবি, সেই সময় এক সিআরপিএফ জওয়ান তাঁর বাড়ির সামনে আসেন। বাড়িতে চেয়ার, টুল রয়েছে কিনা, প্রশ্ন করেন। মহিলা জানান, কিছুই নেই। কিছুক্ষণ পর ফের মহিলার বাড়িতে পৌঁছান ওই জওয়ান। মহিলার থেকে জল চান। বধূ জলের বোতল দেন। উঠোনে বসে সেই সময় রান্না করছিলেন মহিলা। অভিযোগ, অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে বোতলটি বধূর কোলে রাখেন ওই জওয়ান। হাতও চেপে ধরেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব’, ভোটদানের পর মন্তব্য নন্দীগ্রামের রথিবালার মেয়ের]
আতঙ্কে বাড়ির ভিতর ঢুকে যান। পরিবারের সকলকে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান। এই ঘটনায় হইচই শুরু হয়। এর পর ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন। ইতিমধ্যেই ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন ঘাটালের তারকা তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। তিনি বলেন, "রক্ষকই ভক্ষক। এটা গুরুতর অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফার ভোটের আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে জওয়ানের বিরুদ্ধে। ভোটের ডিউটিতে আসা আইটিবিপি জওয়ানের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। এই দুই ঘটনাতেও কঠোর পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের ডিউটি থেকে দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। অতীতের দুটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ষষ্ঠ দফার ভোটেও উঠল একই অভিযোগ।