সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যাস হামলার প্রতিবাদে শুক্রবারও উত্তপ্ত সংসদ। একযোগে অধিবেশন কক্ষের বাইরে এবং ভিতরে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করে দিতে হল অধিবেশন। একাধিকবার চেষ্টার পরও অধিবেশনের কাজ চালানো সম্ভব না হওয়ায় শেষে গোটা দিনের মতো লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মূলতুবি করে দেওয়া হয়।
এদিন অধিবেশন শুরুর পরই সংসদ কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করে হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের সাংসদদের হট্টগোলের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। সংসদের ভবনের সামনেও শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। সেখানে হাজির ছিলেন বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদেরাও।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার শিকার খোদ বিচারক! সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি]
এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আলাদা করে বিক্ষোভ দেখান গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সমবেতভাবে সংসদের মূল প্রবেশদ্বারের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিরোধীদের দাবি, বুধবারের হানাদারি নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যদিও সরকার সেই দাবি মানতে নারাজ।
[আরও পড়ুন: এখনই স্বস্তি নয়, সুপ্রিম কোর্টে মহুয়ার মামলার শুনানি সেই জানুয়ারিতে]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এক সাক্ষাৎকারে একদিন আগেই বলেছেন, সংসদে হামলা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। পালটা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলছেন,”আমরা শুধু প্রশ্ন করছি। প্রশ্ন করাটা রাজনীতি করা নয়। সরকারকে এ নিয়ে বিবৃতি দিতেই হবে।”